নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
বসুন্ধরায় ছাত্রদের ভাঙচুর

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তাকর্মীদের মারধরে এক ছাত্র আহত হওয়ার জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ওই আবাসিক এলাকার একটি সড়ক অবরোধ করেন এবং বসুন্ধরা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিকেলে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি থেকে সরে আসেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আজ শুক্রবারের সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রুপের নিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মীরা নন, কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতরে অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতালের ফটকে মোটরসাইকেল পার্ক করা নিয়ে শাহরিয়ার হাসনাত নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীরা হাসনাতসহ তাঁর দুই সহপাঠীকে প্রহার করেন। খবর পেয়ে নর্থ সাউথের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের ওপরও চড়াও হন। আহত শাহরিয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্য ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীরা নয়, কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা ঘটনার পর ভুল বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আহত শিক্ষার্থী কর্তব্যরত আনসার সদস্যের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ১০টা থেকে নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে প্রগতি সরণি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়লে তাঁরা সেখান থেকে সরে যান। পরে শিক্ষার্থীরা দুপুর থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের করপোরেট কার্যালয়সহ কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর করেন। এ সময় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কয়েকটি খাবারের দোকান ভাঙচুর করা হয়।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান বিন ওমর বলেন, দোষী নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করছেন।
বিকেলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (জনসংযোগ) বেলাল আহমেদ বলেন, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে। বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্য ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, রাতে নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা এলাকায় একটি স্কুল ও বসুন্ধরা গ্রুপের সদর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন। গতকাল ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান হলেও সেখান থেকে একদল ছাত্র বেরিয়ে গিয়ে বসুন্ধরার করপোরেট অফিসে নারী কর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং অফিসের যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেন। তাঁরা বসুন্ধরা গ্রুপের আটটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। অথচ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁরা আহত ছাত্রের চিকিৎসা খরচ দিয়ে দিয়েছেন।
সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল মোত্তাকীন বলেন, পুলিশ বেলা তিনটার দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটকও করা হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের “বি” ইউনিটের (মানবিক বিভাগের) ভর্তিবিস্তারিত পড়ুন

শেকৃবির ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) “আওয়ামীপন্থি” ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তবিস্তারিত পড়ুন

২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরতবিস্তারিত পড়ুন