শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে জাতিসংঘের মাথা ব্যথা নেই

‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে কি নেই সেটা নিয়ে জাতিসংঘে কখনো আলোচনা হয় না, এগুলো শুধুমাত্র ঢাকার পত্র-পত্রিকাতেই দেখি। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) গত কয়েক বছরে কে কতটা কেমন করলো, সেই সাথে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে পিসকিপিং মিশন এইসব নিয়েই বেশি কথা হয় জাতিসংঘে’- একান্ত আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন গত ৬ বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষায় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে মেধাবী এই বাংলাদেশি এখন ঢাকায় ফিরছেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা বিশেষ কোনো উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে।

বোস্টনের ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোমেনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ ইস্যুতে। স্পষ্ট করে তিনি জানালেন, ‘ডেমোক্রেসি কোনো দেশে হলো না হলো এসব জাতিসংঘে আলোচ্য বিষয় নয়। ইজিপ্ট-আফগানিস্তান-ইরাক বা লিবিয়ার কী ডেমোক্রেসি আপনারা দেখেছেন? এমনকি ভিয়েতনামও স্বাধীন হওয়ার পর থেকে গত ৭০ বছর একদলীয় শাসনব্যবস্থার মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলেছে। যে মালয়েশিয়াকে আমরা সবসময় সাবাশ দেই, সেখানেও একই সরকার দেশ চালায়। বিশেষ করে মাহাথির মোহাম্মদ কখনোই বিরোধী দলকে এলাও করেননি তার শাসনামলে।’

রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. এ কে আবদুল মোমেন আরো বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে বাপ-বেটা একাই দেশ শাসন করেছে বছরের পর বছর। তাই কোথায় গণতন্ত্র আছে আর কোথায় নেই এগুলো নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় বা সুযোগ জাতিসংঘের নেই। সবচাইতে বড় বিষয় হচ্ছে জাতিসংঘের নিজের কাছেই তো ডেমোক্রেসি নেই। সিকিউরিটি কাউন্সিলের কথাই চিন্তা করেন, সাড়ে ৭% লোকের প্রতিনিধি তারা, অথচ ওয়ার্ল্ডের ‍ডিসিশন নেয় তারাই। ইউএন-এ দেখেন, ডেমোক্রেসি আছে কোথায়? আপনার নাউরোর মতো দেশ, জনসংখ্যা মাত্র ১০ হাজার, ভোট তাদের একটি, আবার ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে ভারতের ভোটও সেই একটির বেশি নয়।’

ড. মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের নিজের অভ্যন্তরেই যেভাবে গণতন্ত্র অনুপস্থিত তার আরো প্রমাণ হচ্ছে সেক্রেটারি জেনারেল ইলেকশান। শুধু পারমানেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভরা ঠিক করেন কে হবেন সেক্রেটারি জেনারেল। তাই ডেমোক্রেসি ইজ অ্যাবসেন্ট ইন ইউএন।’ টানা ৬ বছর জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকারী স্বনামধন্য এই অর্থনীতিবিদ আস্থার সাথে বললেন, ‘গণতন্ত্র ইস্যুতে গত ৬ বছর এখানে আমাদের উপর কোনো প্রেশার আসেনি। বাংলাদেশের পত্রিকায় হৈচৈ করলে হয়তো এখানে কিছুটা জিজ্ঞেস করে। অবশ্য একথা সত্য যে, রাস্তায় লোক মারা গেলে আমাদের খুব লজ্জা পেতে হয়। তবে দ্য বিউটি ইজ উই কুড প্রোভাইড এ পজিটিভ রোল টু ইট এবং সবক্ষেত্রেই আমাদের গভর্নমেন্ট ইমিডিয়েট অ্যাকশন নিয়েছে।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?