রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কোকেন যাচ্ছিল অন্য দেশে

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া থেকে আনা একটি কন্টেইনারে ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামে তরল অবস্থায় কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দারা। কোকেনের এই চালান ধরা পড়ার পর গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের মধ্যবর্তী রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দারা বলেন, তাদের ধারণা দক্ষিণ আমেরিকা থেকে অন্য কোনো দেশে মাদক চোরাচালানের জন্যে বাংলাদেশকে মধ্যবর্তী রুট হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

গতকাল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমূখী তেলের ঘোষণা দিয়ে আমদানী করা একটি ড্রামে কোকেনের চালানটি পাওয়া যায়। গোয়েন্দারা বলছেন, ড্রামটিতে ১৮৫ কেজি তরল ছিল এবং তাতে এর এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় ৬০ কেজি কোকেন রয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্যে কোকেনের চালানটি আনা হয়নি।

মইনুল খান বলছেন, কোকেনের চালানটি চট্টগ্রামে আসার পর ২৫ দিন সেটি বন্দরে পড়ে ছিল এবং যার নামে এসেছিল, তিনি এটি আমদানীর কথা অস্বীকার করেন। ফলে তিনি মনে করছেন, এই চালানের পেছনে একটি আন্তর্জাতিক চক্র থাকতে পারে। বাংলাদেশে হেরোইন সহ নানা ধরণের মাদক পাওয়া গেলেও কোকেনের প্রচলন কম বলেই ধারণা করা হয়। তবে বাংলাদেশে এর আগে ২০১৩ সালে পাউডার কোকেনের বড় একটি চালান উদ্ধার করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের ঝুঁকি আগে থেকেই রয়েছে, কারণ পৃথিবীর দুটি প্রধান মাদক উৎপাদনও চোরাচালানের কেন্দ্র গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল ও গোল্ডেন ক্রিসেন্টের ঠিক মাঝখানে বাংলাদেশের অবস্থান। কর্মকর্তারা বলছেন, মাদকের আসল গন্তব্য পশ্চিম ইউরোপ কিংবা উত্তর আমেরিকার কোন দেশ হলেও উৎস দেশ সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়ার জন্যেই হয়তো ঐ চালানটি বাংলাদেশে আনা হয়েছিল।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার বলছেন, কোকেনের চালান আটকের ঘটনার পর মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, মাদক চোরাচালানের মধ্যবর্তী রুট হলে তা বাংলাদেশের জন্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরী করতে পারে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রশিদ মনে করেন, মাদক চোরাচালান এবং সংগঠিত অপরাধ, এমনকি জঙ্গী অর্থায়নের মধ্যে অনেকক্ষেত্রেই যোগসাজশ লক্ষ্য করা গেছে। ফলে বাংলাদেশকে কোকেন চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হলে তা দেশটির জন্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরী করতে পারে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে খুব বেশী পণ্য আমদানী হয় না। এখন সূর্যমূখী তেলের চালানে কোকেন সনাক্ত হওয়ার পর আগামীতে ঐ মহাদেশ থেকে আমদানী করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত নজরদারী করা হবে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মইনুল খান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন

লক্ষ্মীপুর জেলায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগী গ্রামে বজ্রপাতে মো. মোস্তফাবিস্তারিত পড়ুন

সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা

আবহাওয়া অফিস কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগেবিস্তারিত পড়ুন

  • পালিয়ে আসা ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে ফেরত পাঠালো বিজিবি
  • বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
  • সাজেকে ডাম্প ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
  • টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী, অতঃপর…
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • তালাশ টিমের উপর হামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
  • ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা, অস্ত্র-গোলাসহ ৪ গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামে চিনির গুদামে আগুন- ১৭ ঘণ্টা পরও পুরোপুরি নেভেনি
  • কুমিল্লায় ইয়াবাসহ জাসদের কেন্দ্রীয় নেত্রী আটক
  • পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ছাত্রলীগ চবিতে
  • পরীক্ষা দিতে যাওয়া নৌকাডুবিতে জেএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
  • নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ