শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ওয়াশিংটন টাইমসে জয়ের প্রবন্ধ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক চক্রান্ত এখন ব্যক্তিগত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল ইনট্রিগ টার্নস পারসোনাল’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমস। স্থানীয় সময় গতকাল ১৮ মে প্রকাশিত লেখাটি এনটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য অনূদিত হলো।

বছর দেড়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয় থেকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন কল পাই। খবরটি ছিল বেদনাদায়ক : লোকজন আমাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে তথ্য বিক্রির জন্য এফবিআই (যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো) এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। আমি সেই ব্যক্তিত্ব।

রিজভী আহমেদ সিজার হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এফবিআইয়ের তথ্য কেনেন। তিনি ও অন্য কয়েকজন সরকারবিরোধী লাস্টিককে অর্থ দেন, আমার সম্পর্কে এফবিআইয়ের কাছে যেসব তথ্য ছিল তা দেওয়ার জন্য।

আমি কেন? কারণ আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে। সরকারের বিরোধীরা আমার মৃত্যু চায়।

খবরটি সংবাদ মাধ্যমেও চলে আসে, কারণ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিজারের কর্মকাণ্ডের পুরো পথ অনুসরণ ও অনুসন্ধান করছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পরে অনুসরণ করতে করতে বাংলাদেশে পর্যন্ত চলে যান তাঁরা।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পুলিশ একজন বিশিষ্ট সাংবাদিকের বাসায় অভিযান চালায় এবং এফবিআই থেকে লাস্টিকের চুরি করা কিছু নথি পায়। কাঁপুনি ধরার মতো ব্যাপার হলো, এগুলোতে আমার বাসা ও অফিসের ঠিকানা, আমার দৈনন্দিন চলাফেরা এবং এমনকি আমার গাড়ির লাইসেন্স প্লেটও রয়েছে।

সম্পাদক শফিক রেহমান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি লাস্টিকের কাছ থেকে এসব নথি পেয়েছেন। রেহমান সাহেব বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেত্রী খালেদা জিয়ার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা। খালেদা জিয়া ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আমার মায়ের তিন মেয়াদের মধ্যে তাঁর এ মেয়াদটি পড়ে।

আমি বাংলাদেশের জটিল ও অত্যন্ত পার্টিজান রাজনীতির মধ্যে যাব না। কিন্তু বেদনাদায়ক হলেও একটি বিষয় স্পষ্ট : গত দুই বছর আমার দেশে চলা সহিংসতার মধ্যে আমাকে অপহরণ করতে চেয়েছিল একটি সংগঠন : বিএনপি।

২০১৪ সালে পুনর্নির্বাচনের পর বিএনপি সহিংসতা ও সামাজিক ভাঙনে প্ররোচনা দিতে আরম্ভ করে। তারা বলে, আমার মায়ের দল নির্বাচনে কারচুপি করেছে, এমন অজুহাতে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। সত্য হলো, বিএনপি জানত তাদের প্রার্থীরা পরাজিত হবে এবং এ কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে তারা বর্জন করে।

বাংলাদেশি ভোটারদের কাছে ভোটের লড়াইয়ে হেরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতে বিএনপি সহিংসতা শুরু করে। এর মিত্র উগ্রবাদী জামায়াতের সহায়তায় বিএনপি হরতাল ডাকে, ট্রেন লাইনচ্যুত করে, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে, বাসে আগুনবোমা মারে এবং দলীয় কার্যালয় ধ্বংস করে দেয়। জামায়াতের অপরাধীরা দিনে-দুপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার মায়ের দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে।

অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে সরকার সহিংসতার জবাব দিয়েছে। তারা এ ক্ষেত্রে কোনো বিদ্বেষ বা পক্ষপাতিত্ব করেনি। সিজার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, তিনি বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের এক নেতার ছেলে। আমার সম্পর্কে তথ্য নেওয়ার জন্য তিনি লাস্টিককে ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত তাঁর লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করেছেন ‘প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে।’ আমিই সেই ব্যক্তি। সিজার বলেন, তিনি আমাকে ‘ভয় দেখাতে’, ‘অপহরণ করতে’ ও ‘আঘাত করতে’ চেয়েছিলেন। তিনি ‘বাংলাদেশের এক সাংবাদিক’কে লাস্টিকের দেওয়া তথ্য দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন, আর এই তথ্যই পুলিশ সম্পাদক রেহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। রেহমানের স্ত্রী বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি (শফিক রেহমান) লাস্টিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তবু যেসব ক্ষেত্রে রাজনীতি ও সহিংসতা সম্পর্কিত, সেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাস্তবতা বিকৃতভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে চারপাশে।

আমাকে অপহরণের ষড়যন্ত্রের প্রতিবেদনের চেয়ে, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের মন্তব্যে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ‘ভিন্নমতের ওপর দমনপীড়ন’ (নিউইয়র্ক টাইমস) হিসেবে দেখা হচ্ছে। এবং বলা হচ্ছে, যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা ‘বাক স্বাধীনতার ওপর হুমকি হতে পারে’ (ভয়েস অব আমেরিকা)।

দুঃখজনকভাবে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা মোকবিলায় সরকারের পদক্ষেপের বিপরীতে আন্তর্জাতিক মহল যে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে, সংবাদ মাধ্যমেও তার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সরকার দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে, এ খবর প্রকাশ না করে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো বলছে, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও মুক্তমত বন্ধের চেষ্টা করছে (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ) এবং বিরোধীদের ওপর বর্তমানে দমনপীড়ন চলছে বলেও সমালোচনা হচ্ছে (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল)।

গত দুই বছরে বিভিন্ন অপরাধে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের সবাই বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী। তারা অপরাধ করেছে বলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য কোনো কারণ নেই। প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক দলের বলেই কি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না? সেটা হাস্যকর এবং ভয়ংকর বিশ্বাস।

আরেক বিশ্ব নেতার ছেলে বা মেয়েকে যদি অপহরণ ষড়যন্ত্র খবর প্রকাশ হতো, তাহলে কী হতো? ব্যাপারটি কি একইভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হতো? না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?