ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মীর মোশারেফ হোসেনের (রাজিব মীর) বিরুদ্ধে এবার ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি তদন্ত করছে হাইকোর্ট কর্তৃক গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপিড়ন ও নির্যাতন বিরোধী সেল।

শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপিড়ন ও নির্যাতন বিরোধী সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রাজিব মীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তাকে মোবাইলে খুদেবার্তার মাধ্যমে মানসিকভাবে হয়রানি করেন ওই শিক্ষক। তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়া হয়। যদিও ওই শিক্ষক বিবাহিত। তাকে হলে সিনেমা দেখতে ও ঘুরতে বাধ্য করা হতো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা প্রমাণের জন্য যৌন নিপিড়ন ও নির্যাতন বিরোধী সেলে অভিযোগটি পাঠানো হয়েছে।

সেলের প্রধান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হেলেনা ফেরদৌসী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রাজিব মীরসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। আরো দুই শিক্ষকও নম্বর কমিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।

সাময়িক অব্যাহতি পাওয়ার পর রাজীব মীর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এটি বিভাগের জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের ষড়যন্ত্র। বিভাগের চেয়ারপারসনের সঙ্গে চেয়ারম্যানশিপ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় তিনি ওই ছাত্রীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছেন ।

এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারী বলেছিলেন, প্রমাণস্বরূপ একটি অডিও রেকর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। আমি অন্যায়ের বিচার চেয়েছি। আসলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গণমাধ্যমে তিনি নানা অজুহাত দিচ্ছেন, যার সাথে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া ওই শিক্ষকের পক্ষে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী সাইফুদ্দীন বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।