বিশ্বের এই দেশগুলোতে নারীর সঙ্গে চলে ‘নারকীয় অত্যাচার’!
মানুষ আদিম সভ্যতা পেরিয়ে এখন ডিজিটাল দুনিয়ায়, আরও আধুনিক হওয়ার পথে পথগামী। সময়ের সঙ্গে সভ্যতা, ভদ্রতা, শিক্ষার বিকাশ হয়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বে বেশ কিছু কিছু জায়গায় মহিলাদের উপর এমন অনেক অনেক রীতি প্রচলিত আছে, যেগুলো জানলে আঁতকে উঠবেন। যা নারকীয় কিংবা, পৈশাচিক বললেও কম বলা হয়।
১) ব্রেস্ট আয়রনিং- নামের মধ্যেই লুকিয়ে যন্ত্রণা। ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বেশকিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে মেয়েদের সঙ্গে এটাই করা হয়। পাথর, হাতুড়ি বা খুন্তি গরম কয়লার উপর রেখে তারপর সেটাই চেপে ধরা হয় বয়ঃসন্ধিকালের কোনও মেয়ের স্তনের উপর। কারণ এর ফলে ব্রেস্ট টিস্যুগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও মহিলার স্তন যদি আর বৃদ্ধি না পায়, তাহলেই দেশে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে। আর এই জঘন্য কাজটা করে থাকে মেয়ের বাবা-মায়েরাই।
২) বিটিং সেসন- ব্রাজিল সহ আরও কয়েকটি দেশে কোনও মহিলাকে প্রকাশ্য রাস্তায় নগ্ন করে মারা হয়। মার চলতেই থাকে যতক্ষণ না সেই মহিলাটি জ্ঞান হারাচ্ছে বা মারা যাচ্ছে। যদি সেই মহিলাটির অজ্ঞান অবস্থা থেকে আবার জ্ঞান ফিরে আসে, তাহলে তাকে বিয়ের জন্য উপযুক্ত ধরা হয়।
৩) মুসলমানি- সোমালিয়া ও মিশরে এখনও এই রীতি প্রচলিত। মেয়েদের সতীত্ব ধরে রাখার জন্য ছোট বয়সেই জোর করে এটি করা হয়। এমনকী তাদের অজ্ঞানও করা হয় না।
৪) টুথ চিজেলিং- সুমাত্রার মেনতাওয়াই উপজাতির মানুষ বিশ্বাস করে তীক্ষ্ণ দাঁতযুক্ত মহিলারা অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও তাঁদের শরীরের সঙ্গে আত্মার যোগ বেশি। সেই কারণে মেয়েরা একটু বড় হওয়ার পর জোর করে তাদের দাঁত ঘষে দেওয়া হয়। ধারালো ব্লেড দিয়ে যখন এই কাজটি করা হয়, তখন তাদের অজ্ঞান করা হয় না।
৫) জোর করে ট্যাটু- প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিলের কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে জোর করে মহিলাদের সারা গায়ে ট্যাটু করে দেওয়া হয়। যার মধ্যে পাকস্থলী, স্তন ও পিঠে ট্যাটু করানো বাধ্যতামূলক।
৬) পাত্রী অপহরণ- রোমানিয়াতে কোনও মেয়েকে যদি কোনও পুরুষ অপহরণ করে ৪-৫ দিন নিজের কাছে রেখে দিতে পারে, তাহলেই সেই মেয়ে তার। তাকে বিয়ে থেকে যথেচ্ছভাবে ‘ভোগ করার অধিকার’ পেয়ে যাবে ওই পুরুষ।
৭) জোর করে খাওয়ানো- মরিশানিয়েতে বিশ্বাস করা হয় বউ যত বেশি মোটা হবে ততই ভাগ্য খুলবে। সমৃদ্ধি আসবে। আর সেই কারণে সেদেশের তরুণীদের জোর করে খাওয়ানো হয়। দিনে প্রায় ১৬০০০ ক্যালোরি খেতে বাধ্য করা হয়। যাতে তাদের জন্য ভালো বর পাওয়া যায়।
৮) কান্নার বিয়ে- দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রভিন্সে এক অদ্ভুত রীতির চল রয়েছে। তুজিয়া সম্প্রদায়ের এই রীতিকে বলা হয় জুয়ো ট্যাং। এই রীতি অনুসারে প্রত্যেক অবিবাহিত মেয়েকে বিয়ের আগের একমাস প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে কাঁদতেই হবে। আর যদি কেউ কাঁদতে না পারে, তবে তাঁকে তাঁর মা মারধর করবে। যাতে সে বাধ্য হয় কাঁদতে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন