‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসায়িক হতে দেয়া হবে না’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও আমরা জ্ঞান সৃষ্টির জন্যই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কিন্তু একটা শ্রেণি নিজেরা লাভবান হতে চায়। এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। তাদেরকে ব্যবসায়িক হতে দেয়া হবে না। শিক্ষার নামে দেশের যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা করছে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।’
বুধবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ৬৪ জনকে অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক, তিনজনকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক ও একজনকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী।
মাস্টার্স বা এমবিবিএস পরীক্ষায় অনুষদে প্রথম শ্রেণিসহ প্রথম স্থান অধিকারীকে অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক, দর্শন বিষয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারীকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক এবং এমবিবিএস (শেষ বৃত্তিমূলক, নিয়মিত) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বরসহ চিকিৎসা অনুষদে প্রথম স্থান অধিকারীকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের একটু ভিন্ন দৃষ্টি থেকে দেখতে হবে। গতানুগতিকভাবে দেখলে চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চার জায়গা। এখানে গবেষণা হবে, নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হবে। আর যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে কী হবে?’
মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের দেশে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন শস্যের উদ্ভাবন দেখেছি। বর্তমানে খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এভাবে আমাদের দেশের সমস্যাগুলো দেখতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উৎপাদিত জ্ঞান দিয়ে সেইসব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাতে হবে। আর অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য এখানেই।’
গবেষণার ক্ষেত্রে বাজেট স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে গবেষণা ক্ষেত্রে বাজেট খুবই সীমিত। সেজন্য অধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী গবেষণা ক্ষেত্রে যেতে পারছে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গবেষণার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
দেশে জঙ্গি কার্যক্রম সম্পর্কে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ, শোলাকিয়ায় যে জঙ্গি হামলাগুলো হয়েছে সেই জঙ্গিদের বেহেশতের, হুর-পরির লোভ দেখানো হয়েছে। অথচ নিহত জঙ্গিদের বাবা-মারা তাদের লাশই নিচ্ছে না। যেখানে বাবা-মা তাদের সন্তানদের লাশ নিতে চাচ্ছে না সেখানে আল্লাহ তাদের বেহেশতে নিয়ে হুর-পরিদের সামনে বসিয়ে দেবে এমনটা তারা কীভাবে ভাবে বোঝে আসে না।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন