উত্তর পশ্চিম জিম্বাবুয়ের গোকয়ে গ্রামে ব্যাঙের মতো দেখতে অদ্ভুত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। অদ্ভুত দেখতে এ প্রাণির জন্মের পর দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ওই নারীর নাম প্রিসিয়াস নিথি। বয়স ৩৬ বছর। তিনি ৮ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি প্রসব বেদনা অনুভব করলে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিথি সন্তানের জন্মও দেন। কিন্তু নবজাতককে দেখে চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকসহ নিথির পরিবারের সবার। বাচ্চাটি মানুষের মত হয়নি, হয়েছে ব্যাঙের মত দেখতে।

এদিকে স্ত্রী ব্যাঙের মত সন্তান জন্ম দেওয়ায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন তার স্বামী নোমোরে। তার খুব আসা ছিল তার ছেলে সন্তান হবে। ছেলের জন্য নামও ঠিক করে রেখেছিল তিনি। তাদের ঘরে আলো জ্বলে উঠবে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।

নোমোরে বলেন, ‘খুব আশা ছিল আমার ফুটফুটে একটি সন্তান হবে। কিন্তু বাড়ি এসে দেখি স্ত্রী একটি ব্যাঙ সাদৃশ্য সন্তান প্রসব করেছে। বিষয়টিতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।’

এমন অদ্ভুত শিশুর জন্ম হওয়ায় চিকিৎসকরা আর তার দিকে তেমন নজর দেননি। সবার অবহেলায় কিছুক্ষণ পর শিশুটি মারা যায়। পরে মা ও শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে গ্রামের ধর্মগুরু ও নেতারা শিশুটির লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার আদেশ দিলে গ্রামবাসী বাচ্চাটির লাশ পুড়িয়ে দেন।

এদিকে অদ্ভুত দেখতে শিশুটির ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা হয়। ছবিগুলোতে দেখা যায়, একটি ব্যাঙ সাদৃশ্য বাচ্চা সাদা কাগজের উপর রাখা আছে। আর তার পাশে বিষন্নভাবে বসে আছেন বাচ্চাটির বাবা।

তবে নিথি কেন এমন সন্তান প্রসব করলেন তা জানা যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এবিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এমন শিশুর জন্ম হওয়ায় মা প্রিসিয়াস নিথিও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একটি ছেলে আশা করেছিলাম। কিন্তু তা না হয়ে এমন এক অভিজ্ঞতা হলো, যা সারাজীবন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে আমাকে।’

ব্যাঙ সাদৃশ্য সন্তান জন্ম দিয়ে বিষন্ন মা(বাঁয়ে)। কাগজের উপরে রাখা হুবহু ব্যাঙের মত দেখতে বাচ্চাটি