রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ, চিকিৎসা কী?

আজ ৮ জুন, বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে জার্মান ব্রেইন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি দাতব্য সংস্থা গঠিত হয়। ২০০০ সাল থেকে এই সংস্থার উদ্যোগে পালিত হয়ে আসছে  ব্রেইন টিউমার দিবস।

ব্রেইন টিউমারের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। দিবসটি পালনের লক্ষ্য হলো এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে জানানো, আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতি গড়ে তোলা, প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করে তোলা।

ব্রেইন টিউমার কী?

মস্তিষ্কের কোষের টিউমার হলো ব্রেইন টিউমার। যখন মস্তিষ্কের কোনো বিশেষ অঞ্চলের কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ে, তখন তাকে ব্রেইন টিউমার বলে। ব্রেইন টিউমার দুই রকমের হতে পারে— বিনাইন বা শিষ্ট টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্টু টিউমার।

যেকোনো বয়সেই ব্রেইন টিউমার হতে পারে। কিছু টিউমারের সূত্রপাত হয় মস্তিষ্কেই। এদের বলে প্রাইমারি ব্রেইন টিউমার।

কিছু ব্রেইন টিউমারের সূত্রপাত হয় শরীরের অন্য কোনো স্থানের টিউমার থেকে। এদের বলে সেকেন্ডারি বা মেটাস্টাটিক ব্রেইন টিউমার।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ

  • দীর্ঘ মেয়াদে মাথাব্যথা
  • খিঁচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
  • বমির ভাব বা বমি হওয়া
  • দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া
  • কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে অসুবিধা
  • আচরণগত পরিবর্তন ইত্যাদি

লক্ষণগুলো নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশ আক্রান্ত হয়েছে তার ওপর।

রোগ নির্ণয়

ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে যথাসম্ভব দ্রুত নিউরোমেডিসিন বা নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ নির্ণয়ে নিচের পরীক্ষাগুলো সহায়ক :

— ব্রেনের সিটিস্ক্যান ও এমআরআই

— স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা দেখার জন্য ইলেকট্রো এনকেফালোগ্রাফি বা ইইজি।

— স্নায়ুতন্ত্রের পরিবহন ক্ষমতা বা নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট বা ইলেকট্রোমায়োগ্রাফি।

— সিটি গাইডেড এফএনএসি

চিকিৎসা

চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, তীব্রতা, আকার ও অবস্থানের ওপর। সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি হলো এর মূল চিকিৎসা। লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন : খিঁচুনি বন্ধ করার ওষুধ, বমির ওষুধ ইত্যাদি।

ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা দুরূহ। তাই দরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। চিকিৎসার জন্য ফান্ড গড়ে তোলা, পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা, আক্রান্তদের  মানসিকভাবে শক্তি জোগানো, সুস্থদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব।

লেখক : আবাসিক চিকিৎসক, বিএসএমএমইউ।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?

শেষ কবে টুথব্রাশ পরিবর্তন করেছিলেন? যদি মনে করতে না পারেন,বিস্তারিত পড়ুন

ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

ত্বকে নানা কারণেই দাগ পড়তে পারে। বলা বাহুল্য, এই দাগবিস্তারিত পড়ুন

তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?

বাজারে এখন তরমুজে ভরে গেছে। টকটকে লাল রসালো এই ফলবিস্তারিত পড়ুন

  • টিউমার অপারেশনের সময় নাড়ি কাটলেন চিকিৎসক
  • পরোক্ষ ধূমপান থে‌কে নারী‌দের সুরক্ষা চায় ‘নারী মৈত্রী’
  • বছরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে ৩০০০ শিশু
  • আপনি মানসিক রোগী কিনা বুঝবেন কিভাবে?
  • শীত হোক বা গ্রীষ্ম—সারা বছরেই পায়ে দুর্গন্ধ ?
  • রেফ্রিজারেটর খুললেই নাকে হাত, বাজে গন্ধ ?
  • খালি পেটে না খাওয়া ভালো যেসব খাবার
  • ইতিবাচক জীবনের জন্য শ্বাস নেবেন যেভাবে
  • পুরুষের ক্যানসারের যেসব লক্ষণকে অবহেলা করা কারো উচিত নয়
  • করোনারি হৃদরোগের নীরব ৪টি লক্ষণ, জানা দরকার সকলেরই
  • স্তন ক্যানসারের কারণ ও লক্ষণ জানেন?
  • এলার্জির সমস্যা কমাবে আপনি পাবেন একটুখানী স্বস্তি