রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু, এলাকায় তোলপাড়

ভোলার বোরহানউদ্দিনে স্বঘোষিত ডাক্তার সিবাজুল ইসলামের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সে উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের চকডোষ গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে। সন্তানের মৃত্যুতে নবজাতকের মা তানিয়া বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এদিকে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে রবিবার (আগামীকাল) কোর্টে মামলা করবেন বলে জানান নবজাতকের বাবা হোসেন।

নবজাতকের বাবা আবুল হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে তাদের প্রথম এবং ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। রাত পেরোলে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নবজাতকের মা তানিয়ার কাশি হলে তিনি সিরাজুল ইসলামের শরনাপন্ন হন। তিনি বাচ্চার মাকে দেখে খাবার ঔষধ দেন। একই সময় ছেলের অসুবিধা আছে বলে সেট্রিয়াক্সন গ্রুপের একটি কোম্পানির এসিপিন ২ গ্রাম নামের ইঞ্জেকশন পুশ করেন। ওই ইঞ্জেকশন পুশ করার ১৫ মিনিট পর নবজাতকের চোঁখ বন্ধ হয়ে শরীর ঠান্ড হয়ে যায়। আস্তে আস্তে শিশুর শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ওই স্থান কালো হয়ে যায়। অবস্থার আরো অবনতি হলে ওই দিন বেলা ১২ টার দিকে ওই ডাক্তারকে নিয়ে গেলে তিনি শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির লাশ দাফনের পর হোসেনের সন্দেহ হলে পুশ করা ইঞ্জেকশনের খোসা সমেত ভাঙ্গা এম্পুল বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের দেখালে তারা শিশুর জন্য ওই ইঞ্জেকশন প্রযোজ্য নয় বলে মত দেন। এরপর হোসেন থানায় মামলা করতে যান।

জানা গেছে, স্বঘোষিত ডাক্তার সিরাজুল ইসলামের প্রাতিষ্ঠানিক কোন সনদ নেই। এলাকাবাসী জানায়, তার ফার্মেসির ও ঔষধ প্রশাসনের লাইসেন্স নেই।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তার (আরএমও) জহিরুল ইসলাম শাহিন জানান, শিশুটিকে দেয়া ইঞ্জেকশনের নমুনা তিনি দেখেছেন। যেখানে ওই বয়সের শিশু সর্বোচ্চ ২ শত ৫০ মিলিগ্রাম মাত্রার ইঞ্জেকশন পাবে, সেখানে তাকে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ৫০ মিলিগ্রামের ইঞ্জেকশন। যা ওই শিশুর জন্য বেশি মাত্রার ডোজ হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন কৃষ্ণ রায় চৌধুরী জানান, নবজাতকের লাশ দাফন করে ফেলায় হোসেনকে কোর্টের শরণাপন্ন হতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বঘোষিত ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম তার চিকিৎসার ভুল স্বীকার করেন। সেই সাথে তার ন্যূনতম কোন সনদ নেই বলে জানিয়ে সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ করেন। তবে ফার্মেসির কাগজ তার ছেলে আবেদের বয়স যখন ১০ বছর ছিলো তখন করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা ঔষধ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন জানান, এসএসসি পাশের পর ট্রেনিংয়ের পর ওই সনদ দেয়া হয়। কিন্তু ১০ বছর বয়েসী কারো পক্ষে ওই সনদ নেয়া সম্ভব না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

স্ত্রী হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল কারাগারে

ভোলার লালমোহনে মাহমুদা মেহের তিথি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগবিস্তারিত পড়ুন

ভোলায় কিশোরীকে আটকে রেখে টানা ৩ দিন ধরে গণধর্ষণ!

ভোলার লালমোহনে এক কিশোরীকে আটকে রেখে টানা তিনদিন ধরে গণধর্ষণবিস্তারিত পড়ুন

ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে কলেজ ছাত্রাবাস ধুমড়ে মুচড়ে গেছে, আহত-১০

কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি| ভোলার মনপুরায় প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় ওবিস্তারিত পড়ুন

  • দ্বিতীয় শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, লম্পট শিক্ষক আটক
  • ভোলায় যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে,৩৫ যাত্রী আহত
  • ভোলার খবরঃ ইলিশ ধরার অপরাধে ১৭ জেলের কারাদন্ড
  • বর্ষায় ফসল হারানোর কষ্টে ক্ষেতেই মারা গেলেন কৃষক
  • ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিতে ১০৫০ হেক্টর জমির আলু ক্ষতিগ্রস্ত
  • ভোলায় মেঘনা নদী থেকে মায়াবী হরিণ উদ্ধার
  • ভোলায় জেলে পুনর্বাসনের চাল প্রকৃত জেলেদের মাঝে বিতরণের দাবি
  • ভোলায় পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • ভোলায় ভাষা শহীদদের প্রতি বিভিন্ন মহলের শ্রদ্ধাঞ্জলি
  • হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার নন্দিত বাবুই পাখির বাসা
  • ভোলায় যাত্রীবাহি লঞ্চের ধাক্কায় কার্গো ডুবি, নিখোঁজ ১
  • ভোলায় মানসীক প্রতিবন্ধি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার