যেসব মানুষ মরে গিয়েও জীবিত ছিলেন !
যে কারও জীবনেই মৃত্যু খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। মানুষ জন্ম নেবে, মারা যাবে- এই তো নিয়ম। তবে তারপরেও প্রিয়জনের মৃত্যুতে সবসময়েই কেঁদে ওঠে মানুষের মন। কিন্তু এমন কিছু মানুষের কথা বলব এবার যাদের মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ। কাঁদবে কি করে? কেউ জানলে তো! সত্যিই এই হতভাগা মানুষগুলোর মৃত্যু সম্পর্কে কেউই জানেনি বছরের পর বছর ধরে। এমনকি এদের খুব কাছের মানুষেরাও নয়। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু মানুষের কথা।
১. টিভির সামনে ৪২ বছর
১৯৬৬ সাল ছিল সেটা। সেই শেষবার হেডভিগা গোলিগকে বাড়ির দরজায় দেখতে পেয়েছিল প্রতিবেশীরা। এরপর? টানা ৪২ বছর কেটে গিয়েছে। আর কোনদিন কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি ১৯২৪ সালে জন্মানো এই ক্রোয়েশিয়ান মহিলার ( ওডি )। মাঝে কয়েকবার পুলিশের কাছে অনুরোধ এসেছিল হেডভিগার বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরটা দেখে নিতে। আদৌ কোন সমস্যা হয়েছে কিনা তার। কিন্তু সবার স্থির বিশ্বাস ছিল মহিলা জাগ্রেবে চলে গিয়েছেন। সেজন্যেই বাড়ি এত শুনশান। অনুরোধের দিকে কোন কানই দেয়নি কেউ। সেবার কি একটা প্রয়োজনে বাড়িতে ঢোকাটা খুবই দরকার হয়ে পড়ে মালিকের জন্যে। দরজা ভেঙে পুলিশের সাহায্য নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি। আর তারপরেই থমকে যান তিনিসহ সবাই। টিভির সামনে চায়ের কাপ নিয়ে কে এই মহিলা? কে আবার? হেডভিগা গোলিগ! না, সবাই ভুল ছিল। কোথাও যায়নি সেদিন হেডভিগা। চা খেতে খেতে টিভি দেখছিল সে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। যদিও ৪২ বছরের আগে তার মৃত্যু সম্পর্কে জানতো না কেউ!
২. তিন বছর ধরে মৃত
২০০৬ সালের ২৫ জনুয়ারি। সেবার নিজেদের কিছু কাজ সারছিলেন কর্মকর্তারা। হঠাত্ তাদের চোখ পড়ে যায় পাশের একটি বাসার চেয়ারের দিকে। চেয়ারটা একলা ছিল না। তাতে বসে ছিল একটি আস্ত কঙ্কাল! খবর চলে যায় সবদিকে। কৌতুহলী হয়ে দেখতে গিয়ে বড় রকমের একটা ধাক্কা খায় সবাই। একদিন, দুদিন নয়, কঙ্কালটি চেয়ারটিতে শুয়েছিল টানা তিনবছর ধরে। তিনবছর ধরে জমে থাকা চিঠি আর ২০০৩ সালের খাবার জমে ছিল ফ্রিজে। ( দি গার্ডিয়ান )। তার সামনে তখনো চলছিল টেলিভিশন। মৃত্যুর সময় বিবিসি দেখছিল মানুষটি। দেখে চেনার উপায় ছিল না কঙ্কালটি কার। আর তাই অনুসন্ধান করা হয় আর জানা যায় এটি জয়েস ভিনসেন্ট নামের এক ৩৮ বছরের নারীর কঙ্কাল। যার মৃত্যু হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগেই।
৩. বইয়ের ভেতর মৃত্যু
স্ত্রীর বড়বোন লেখক বারবারা সালিনাসের সাথে প্রায় দুইবছর ধরে যোগাযোগ ছিল না লুইস পোনেছের। লেখক মানুষ! একটু চুপচাপ তো থাকবেনই। বাচ্চাদের জন্যে বই লিখতেন সালিনাস। মেক্সিকোর বাচ্চাদেরকে তাদের নিজেদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করে দেওয়াটাই প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তার। বেশ পরিচিতও ছিলেন তিনি এ কাজের জন্যে। সবটাই জানা ছিল লুইসের। কিন্তু দুইবছর পর হঠাত্ দুশ্চিন্তা হতে শুরু করল তার। যতটাই চুপচাপ থাকুক না কেন কেউ, তাই বলে দুই বছর? খানিকটা রাগ আর খানিকটা দুশ্চিন্তা নিয়েই সালিনাসের বাড়িতে যান লুইস ২০১৩ সালে। আর ঘরের ভেতরে ঢুকতেই খুঁজে পান সালিনাসকে মৃতাবস্থায় বাইয়ের ভেতরে পড়ে থাকতে। অবশ্য তখন সেটা সালিনাস নয়, ছিল তার কঙ্কাল। পরীক্ষা করে জানা যায় যে প্রায় ১ বছর আগেই প্রাকৃতিক কারণে মারা যান এই লেখক( দ্যা গার্ডিয়ান )।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন