নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরদ্দিন ইউনিয়নে নেশার টাকা, জমির অংশ ও পুলিশে সোপর্দ করায় আজমলের নেছা নামে এক নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে তার ছেলে।

গত শুক্রবার তমরদ্দিন ইউনিয়নের উত্তর বেজুগুলিয়া গ্রামের আব্দুল হাই মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রিয়াজ উদ্দিন ওই বাড়ির আব্দুল হাই মাস্টারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেশার টাকা, জমির অংশ নিজের নামে না পাওয়ায় মা-বাবাকে মারধর ও বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে বখাটে ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৩০)। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় বখাটে রিয়াজ উদ্দিনকে থানায় সোপর্দ করে তার পরিবার। পরে মা-বাবাকে মারধর ও নেশা করবে না এ মর্মে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি সহযোগিতায় তার কাছ থেকে লিখিত নিয়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার সকাল ৭টার সময় তার বাবার অনুপস্থিতিতে রিয়াজ উদ্দিন তার মা আজমলের নেছাকে রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম এবং হাত-পা ভেঙে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ অচেতন অবস্থায় আজমলের নেছাকে উদ্ধার করে ওছখালি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আব্দুল হাই মাস্টার মুঠোফোনে কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, তার নেশাখোর ছেলে রিয়াজ তার নামে জমি লিখে না দেয়ায় দফায় দফায় তার স্ত্রী ও তাকে (আব্দুল হাই মাস্টার) পিটিয়েছে। একাধিকবার বাড়িতেও ভাঙচুর করেছে রিয়াজ।

তিনি আরো জানান, রিয়াজ অস্ত্র, চোরাকারবারী, ফেনসিডিল, গাঁজা ও মদসহ বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আর সম্পত্তির লোভে তাকে এসব কাজে সহযোগিতা করে তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার রাশেদা। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। পুলিশ জানায় এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।