মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছি …
মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু শুনেছি অনেক কথা মনে হয় কেন তখন আমার জন্ম হয়নি কেন দেখলাম না সেই মহা মানবদের যাদের আত্মার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একখণ্ড স্বাধীন মাতৃভূমি যার নাম “বাংলাদেশ”। এই মুক্তিযুদ্ধে আমার ফুফাতো বোন হারিয়েছে তাঁর জীবন আমার মেজ মামাকে দিতে হয়েছে তাঁর জীবন। সেদিন আমার ফুফাতো বোনের জীবনের বিনিময়ে বেঁচে গিয়েছিল পুরো পরিবারটির জীবন।
এই রকম ভাবে অনেক পরিবার তাদের পরিবার হরিয়ে পেয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। তাই আমার মনে মাঝে মাঝে একটি গান বেজে উঠে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম”। বাবার মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথা অনেক শুনেছি,শুনেছি তাঁর মহানুভব দেশ প্রেমের কথা, যার বজ্র কণ্ঠের ডাকে ৭ই মার্চের ভাষণে জড়ো হয়েছিল বাংলার মানুষ আর একত্রিত জোট হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে । আজ যখন ৭ই মার্চের ভাষণ শুনি শরীরে শিহরণ জেগে উঠে।
কি সুন্দর ছিল তাঁর ব্যাক্তিত্ত কি সুন্দর তাঁর প্রতিভা যার দরুন জাতিসংঘেও দিয়েছিলেন বাংলায় ভাষণ।
কিন্তু হায় ভাগ্য বুঝলনা তাঁর ভালোবাসা বুঝলনা তাঁর ত্যাগ বাংলার আততায়ীর হাতে তাকেই জীবন দিতে হল শুধু তাই নয় মেরে ফেলা হল পরিবারের আরও অন্যান্য সদস্যদেরও। ভাগ্য ক্রুমে বেঁচে গেলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা । এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্যই আমরা সারা বাংলার মানুষ গাইতে পারি “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রানে বাজায় বাঁশী,” এখন কবি রবিন্দ্রনাথের এই কবিতাটিতে “তোমার” বলতে মনে হয় কবি শেখ মুজিবকেই বুঝিয়েছিলেন যার মুক্তির ডাকের জন্য আজ আমরা স্বাধীন বাংলার আকাশ দেখি আর বংশীবাদক বাজায় তাঁর বাঁশী।
মাঝে কতটি বছর কেটে গেছে কিন্তু স্বাধীন বাংলাতে মনে হয়েছে পরাধীন ভাবে আছি তাই মাঝে মাঝে অনেককেই বলেছি আমরা কি স্বাধীন হতে পারবনা? আমরা কি পারবনা সঠিক গণতন্ত্রের চর্চা করতে?
এলো ২৯ এ ডিসেম্বর ২০০৮, নির্বাচনে জিতলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দল সংসদ গঠিত হল ধীরে ধীরে বাংলাদেশ পেতে শুরু করল তাঁর গণতন্ত্র। দেশে সন্ত্রাস দমনের সাথে সাথে কমে গেল রাহাজানি ও চাঁদাবাজি। এখন অনেকেই ভালোভাবে তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করছে দেশ চলতে শুরু করল উন্নতির ধারায়। অনেক মানুষ আজ বেকারত্তের অভিশাপ হতে মুক্ত। হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি পরিণত হয়েছে “ডিজিটাল বাংলাদেশে।” যদিও অনেক মানুষ এখনও বেকার রয়ে গেছে তবুও সরকারের চেষ্টা থেমে নেই।
আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বলতে যা বুঝি তাই হয়েছে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারনেই সম্ভব হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেছি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কিন্তু পারিনি, তাকে বলতে চেয়েছি আপনি যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান। এই পুরুষ শাসিত পৃথিবীতে অনেকেই যা পারেনি আপনি তা করে দেখিয়েছেন। বাংলাদেশকে দেখিয়েছেন তাঁর পথ সেই শিশু বাংলাদেশটি আজ অনেক বড় হয়েছে চলতে শিখেছে নিজের গতিতে।
জনসম্পৃক্ততায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে তাঁর ব্যবস্থাপনা,প্রেষণা,গঠনতন্ত্র ও নির্দেশনা একমাত্র বাংলাদেশের উন্নতিকেই নির্দেশ করে।
আমি অনেক অল্প জ্ঞান সমৃদ্ধ একজন সাধারণ মানুষ কাউকে তেল মারতে শিখিনাই তাই ছাত্র জীবনে রাজনীতি করতে চেয়েও পারিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেবের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই সমালোচনা কে ভয় না পেয়ে, তাদের থেকে দূরে থাকুন। শুধু মনে রাখবেন যতদিন আপনার হাতে দেশ ‘পথ হারাবেনা বাংলাদেশ।”
লেখক- মোঃ হেলাল উদ্দিন খান
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন