মাশরাফি ভাইয়ের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে: নাফিস
টেস্ট ক্রিকেট খেলার পথ হারিয়েছেন চোটের সঙ্গে লড়তে লড়তে। ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে খেলছিলেন শতভাগ দিয়ে, সেরা পারফর্মার হয়েই। কিন্তু হঠাৎ করেই ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিই শেষ তার। অধিনায়কের হঠাৎ সিদ্ধান্তে স্তব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। অন্যদের মতো ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিসও প্রস্তুত ছিলেন না এমনটা শোনার।
নাফিস ভেবেছিলেন আরও কিছুদিন খেলে টি-টুয়েন্টিকে বিদায় জানাবেন মাশরাফি। বুধবার টি-টুয়েন্টি অধিনায়কের অবসর, নেতৃত্ব, চোটজর্জর ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন নাফিস। টি-টুয়েন্টি থেকে অবসর: মাশরাফি ভাই দুর্দান্তভাবে টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। উনি আরও অনেকদিন খেলতে পারতেন যদি তাকে এতগুলো অপারেশনের মধ্য দিয়ে না যেতে হত। টি-টুয়েন্টি থেকে তার বিদায়ের সিদ্ধান্তের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। তারপরও বিশ্বাস করি উনি চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রথম টি-টুয়েন্টি: এতটুকু মনে পড়ে মাশরাফি ভাই যখন টিমে ঢুকেছেন, তখন থেকে টিমে পেস বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিতেন। ওই সময় ব্যাট হাতেও সফল একজন ছিলেন। ওই ম্যাচটায় উনি ভালো করেছিলেন। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পুরো সিরিজেই ব্যাটে-বলে ভালো করেছিলেন। তখন উনি মাত্র অপারেশন থেকে ফিরেছেন।
মাশরাফির নেতৃত্ব: দেখুন, উনি একজন অসাধারণ লিডার। বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে ওনার হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। কত অল্প সময়ে দেখেন বাংলাদেশ কোথায় গিয়েছে। মাশরাফির যোগ্য নেতৃত্বের কারণে এটা হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে। উনি যেভাবে করে ড্রেসিরুমের সবাইকে মোটিভেট করেন, তাতে অন্যদের পারফর্ম করা সহজ হয়।
যে স্মৃতি ভোলার নয়: এখনও মনে আছে। আমি তখন আইসিএল থেকে ব্যাক করেছি। ব্যাক করার পর সেটা আমার তৃতীয় সিরিজ ছিল। ২০১০ সালে যেবার নিউজিল্যান্ডকে আমরা প্রথম হোয়াইটওয়াশ করলাম। ক্যাম্প চলছিল। মাশরাফি ভাই এসে বললেন, তামিম ইনজুরিতে, আমি তোর কথা ম্যানেজমেন্টকে বলেছি। তুই তিনটা ম্যাচ খেলবি। মনোযোগ দিয়ে খেলিস, ভালো করবি ইনশাআল্লাহ। ক্যাপ্টেনের কাছে থেকে যে এরকম একটা নিশ্চয়তা! আমার সিরিজটা খুব ভালো গিয়েছিল।
মাশরাফির মানসিক দৃঢ়তা: ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকটা প্লেয়ারের ওপর দায়িত্বশীল উনি। বড়গুণ মনের ভেতর ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি। শক্ত মনোভাব নিয়ে ফিরে আসা। একটু পেছনে চলে গেলে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছেন। মাশরাফি একটা বিশেষ চরিত্র। ঘরে-বাইরে, মাঠে সব জায়গায় প্লেয়ারদের কাছে টেনে নেন। পারফরম্যান্স তো পরে, মানুষ মাশরাফি আমার কাছে বিশেষ একটা চরিত্র। যার কারণে সে সবার থেকে আলাদা। আউটস্ট্যান্ডিং।-চ্যানেল আই
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন