সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মিয়ানমারে ফিরে যাচ্ছে অল্প কিছু রোহিঙ্গা, বলছেন কর্মকর্তারা

মিয়ানমারের সেনা অভিযান থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে কেউ কেউ সম্প্রতি আবার দেশে ফিরে যাচ্ছেন, বলছেন কর্মকর্তারা।
গত দু সপ্তাহে একটি ক্যাম্প থেকে শ পাঁচেক রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারে ফিরে গেছে বলে ক্যাম্পেরই একজন বাসিন্দা বলেছেন। যদিও কক্সবাজার এলাকায় আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পরিবারের তুলনায় এ সংখ্যা অতিশয় নগন্য।

কিন্তু কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক নাফ নদীর ওপারে রাখাইন রাজ্যের সহিংস পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আশায় গত এক সপ্তাহ ধরে তারা এই প্রবণতাটি লক্ষ্য করছেন।

কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে একটি অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা আবু সিদ্দিক বলছেন, গত দুই সপ্তাহে তাদের ক্যাম্প থেকে শ পাঁচেক রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারে ফিরে গেছে।

গত অক্টোবর মাস থেকে এই ক্যাম্পটিতে এসে এখন পর্যন্ত এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ত্রিশ হাজারের বেশী।

মি. সিদ্দিক বলছেন, “মূলত যেসব পুরুষেরা পরিবারের অন্য সদস্যদের মিয়ানমারে রেখে পালিয়ে এসেছিল তারাই ফিরে যাচ্ছে। এদের একটা ধারণা হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে রয়ে গেছে এবং তাদের সহায় সম্পত্তি আছে, সেগুলোর খোঁজ খবর করতেই তারা যাচ্ছে”।
টেকনাফে বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বিবিসিকে বলেন, সম্প্রতি রাখাইন প্রদেশে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসার প্রেক্ষাপটে অনেক রোহিঙ্গা ফিরছেন।

তবে কি পরিমাণ ফেরত যাচ্ছে তার সঠিক পরিসংখ্যন নেই।
অবশ্য বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো আজ তাদের এক খবরে বলেছে প্রায় তিনশর মতো রোহিঙ্গা এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় মিয়ানমার ফিরে গেছে বলে তারা জানতে পেরেছে।

তবে ফেরৎ যাওয়ার একটি প্রবণতা পরিলক্ষিত হবার কথা স্বীকার করছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন।
তিনি বলছেন, সপ্তাহখানেক ধরে এই প্রবণতাটা তারা দেখছেন। তবে এই সংখ্যাটা একেবারেই নগণ্য, উল্লেখ করার মত নয়। তিনিও রাখাইনের পরিস্থিতি শান্ত হওয়াকে কারণ বলে উল্লেখ করেন।

তবে কক্সেসবাজারের সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যে উঠে আসছে দ্বিতীয় একটি কারণ।
তিনি মনে করেন, রোহিঙ্গাদেরকে ঠেঙ্গারচরে পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার সেটি অনেক রোহিঙ্গার মনঃপুত না হওয়ায় তারা ফিরে যাচ্ছে।
মি. আহমেদ বলেন, তারা নাফ নদীর দুই পাড়ে বসবাস করে অভ্যস্ত।

‘ওপারে কিছু হলে তারা এপারে চলে আসে, আর এপারে কিছু হলে তারা ওপারে চলে যায়। ঠেঙ্গারচরে পাঠিয়ে দিলেতো আর সেটা করা যাবে না। এজন্য কেউ কেউ ফিরে গেছে হয়তো’।

কিন্তু যেতে চাইলেই তো যাওয়া যায় না।

মিয়ানমারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এমন একজন বাংলাদেশী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করবার শর্তে বিবিসিকে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে যে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা শরণার্থী ফিরতে পারছে, তেমনটি তার মনে হয় না।

সেখানে সেনা অভিযান বন্ধ হলেও সৈন্যরা সেখানে সতর্ক অবস্থানেই রয়েছে।

বাংলাদেশে চলে আসা রোহিঙ্গারা সেখানে ফিরুক তারা সেটা চায় না, তাদের প্রতিহত করতেও তারা সচেষ্ট, বলছিলেন এই কর্মকর্তা।

এমনকি, রোহিঙ্গারা যাতে আর ঢুকতে না পারে এজন্য ভবিষ্যতে সীমান্তে একটি দেয়াল তোলা যায় কি না, তা নিয়েও রাখাইনের পার্লামেন্টে আলোচনা হচ্ছে।

কিন্তু এরকম কড়াকড়ির মধ্যেও হাতে গোণা কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা ফিরে যেতে পারছে, সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদের ভাষায়, সীমান্তরক্ষীদেরকে ‘ম্যানেজ’ করার মাধ্যমে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান,বিস্তারিত পড়ুন

অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি

গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহের যখন পুড়ছে পুরো দেশ তখন উত্তরপূর্বাঞ্চলের জেলাবিস্তারিত পড়ুন

  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
  • ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
  • তিন বিচারপতি আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন
  • বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাচ্ছে গোলাপি চাঁদ
  • মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
  • বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
  • বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ 
  • ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল
  • দেশের কৃষক বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন সেটাই করবে সরকার: কৃষি মন্ত্রী