শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি মেলেনি ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের

স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি মেলেনি ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গোপালডাঙ্গাগাছা গ্রামের মৃত সত্য চরন রায় এর ছেলে।

ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের বয়স এখন ৭০ বছর ছুঁই ছুঁই করছে। বয়সের ভারে এখন কানে কম শোনেন। দূর থেকে চোখেও অনেকটা ঝাপসা দেখেন। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের কিছু কিছু ঘটনা অকপটে বলতে পারছেন।

তিনি তার গলার ভাঙ্গা ভাঙ্গা কাঁপুনি কন্ঠে জানালেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা। যুদ্ধ করেছিলেন ৯ নম্বর সেক্টরের সাতক্ষীরার দেবহাটা অঞ্চলে। তিনি প্রথম ২৭ বছর বয়সে তার প্রথম ৩ বছরের কন্যা সন্তান লক্ষী রানী ও স্ত্রীকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন। তার সাথে ছিল তারই সমবয়সি একই উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের ফকির গোলদারের ছেলে নিরনঞ্জন গোলদার, কৈখালি গ্রামের ভেটু বাছাড়ের ছেলে কিরন বাছাড়, টিকারামপুরের হরিপদ মন্ডলের ছেলে রবিন মন্ডল। তারা প্রথম দেবহাটার বিপরীতে ইছামতি নদীর তীরে ভারতের টাকিতে দুই মাস ট্রেনিং করেছিলেন।

ধীরেন্দ্র নাথ রায়সহ তাদের সাথে তিনটি দলে ১২জন করে মোট ৩৬ জন অংশ নিয়েছিল সেই ট্রেনিংয়ে। সাতক্ষীরা বাদে অনেকের বাড়ী ছিল বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে। দ্বিতীয় দফায় ১৫ দিনের অস্ত্র চালানোর ট্রেনিং করেন দেবহাটায়। সেখানে সেক্টর কমান্ডারের দ্বায়িত্বে ছিলেন মেজর জলিল। টাউনশ্রীপুর স্কুল ছিল তাদের ক্যাম্প। সেখান থেকে তারা তিনটি দলে ভাগ হয়ে সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধ করেছিলেন খান সেনাদের সাথে। তার মধ্যে পুস্পকাটি ও চেকপোস্ট এলাকার যুদ্ধের বিষয়টি এখনও মনে আছে মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের। মুক্তিযুদ্ধের পরে দেবহাটা ক্যাম্পে অস্ত্র জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধের সার্টিফিকেটও পেয়েছিলেন ধীরেন্দ্র নাথ রায়। তিনি আরও জানান মুক্তিযুদ্ধের পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স ম আলাউদ্দিন সাহেব এমএলে থাকা কালিন সময়ে তিনি পরপর ৪ বার ভাতা পেয়ে ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহসান খুন হবার পরে দেশ ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের উপরে অনেকটা চাপ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর। সে সময় তালা উপজেরার এই মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায় মুক্তিযুদ্ধের সেই সার্টিফিকেটটি হারিয়ে ফেলেন তিনি।

পরে যোগাযোগের অভাবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে আর খোঁজ নেওয়া হয়নি তার। যে কারণে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এই অসহায় হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়। যিনি ৭১ সালে নিজের জীবনবাজি রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে তার নাম সহ তার সাথে অংশ নেওয়া একই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা নিরনঞ্জন গোলদার, কিরন বাছাড় ও রবিন মন্ডলের নাম বাদ পড়ে গেছে।

কিন্তু বর্তমানে এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায় তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তরভুক্তির জন্য মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই সংক্রান্ত কমিটির নিকট ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা নিবন্ধন আবেদন ফরমে একটি দরখাস্ত করেন। ২১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় সরকারিভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করার কথা রয়েছে। সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের নাম যাতে মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় অন্তরভুক্তি হয় সে জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শিল্পকলা পুরস্কার পেলেন ১৩ জন আলোকচিত্র শিল্পী

 ‘উন্নয়নের বাংলাদেশ, নান্দনিক বাংলাদেশ’ শিরোনামে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পুরস্কারবিস্তারিত পড়ুন

‘আমলাতন্ত্রকে ভেঙে গণমুখী বাজেট তৈরির আহ্বান’

জাতীয় বাজেটকে গণবান্ধব ও কর্মসংস্থানমুখী করতে হলে তেভাগা পদ্ধতিতে যেতেবিস্তারিত পড়ুন

চড়াই-উতরাই থাকবে হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন

  • দাম বাড়ছেই ডিমের
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালো বাংলাদেশ দল
  • নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে
  • ৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 
  • বাকৃবি গবেষকের সাফল্য এই প্রথম সুস্বাদু দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকুয়েন্স উদ্ভাবন
  • এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ছয় দেশ
  • আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
  • কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন
  • উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি
  • সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী