কিপার ও অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিম আর চলছেন না; বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে এমন কিছুই। ফলে তাকে এই দুই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার চিন্তা- ভাবনা চলছে। সেটাও নাকি গত ছয় মাস ধরে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন এমন কথাই।

ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট মাঠে থেকে দেখতে ভারতে অবস্থান করছেন পাপন। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন যে, মুশফিককে আর কিপার ও অধিনায়ক হিসেবে না রাখার চিন্তা করছে বিসিবি। তাকে দলে রাখা হবে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে।

এমন আলোচনার কথা আগেও শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু ব্যাট হাতে সব সময়ই দারুণ কিছু করে এই বিতর্ক পিছনে ফেলে দিয়েছেন মুশফিক। তবে এবার বোধহয় আর পার পাচ্ছেন না এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক।

বিতর্কটা ফের জ্বলে উঠলো হায়দরাবদ টেস্টেই। ভারতের প্রথম ইনিংসের সময় ক্যাচ ফেলেছেন মুশফিক। মিস করেছেন সহজতম স্ট্যাম্পিং। তার স্ট্যাম্পিং মিসে পাওয়া সুযোগে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। অধিনায়ক হিসেবে নিয়েছেন হাস্যকর কিছু সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে কিপার ও অধিনায়ক হিসেবে মুশফিককে সরিয়ে দেয়ার পুরোনো বিতর্কটা মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন করে।

২০১৪ সালের শেষ দিকে এসে, বাংলাদেশ যখন দেশে ও দেশের বাইরে একের পর এক হারে বিপর্যস্ত এক দল; তখনই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে মুশফিককে সরিয়ে দেয়া হয়। সীমিত ওভারের দায়িত্ব পান মাশরাফি বিন মর্তুজা। মুশফিককে রাখা হয় কেবলই টেস্টে।

মুশফিককে যদি শেষ পর্যন্ত সরিয়েই বিসিবি, তবে কে হবেন তার বিকল্প? এর মধ্যেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, মুশফিকের বিকল্প পাওয়া কঠিনসাধ্য এক কাজই। সেই কঠিন কাজটা যদি বিসিবি করে ফেলতে পারে, তবে পরবর্তী সিরিজে, শ্রীলঙ্কা সফরেই নতুন টেস্ট অধিনায়ক পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ।