মুসলিমদের ভালো বন্ধু বলে মনে করে কত শতাংশ হিন্দু?
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে হিন্দু-মুসলিম উত্তেজনা প্রবল আকার ধারণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন জাগে ভারতের প্রধান দুই ধর্মাবলম্বী মানুষরা কতটা একে অপরকে বন্ধু বলে মনে করে?
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে সে ছবি। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ হিন্দু, মুসলিম অধিবাসীদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই মনে করেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে অবশ্য সংখ্যাটা অনেকটা বেশি। কেননা ৭৪ শতাংশ মুসলিম মনে করেন হিন্দুরা তাদের ভালো বন্ধু।
‘আ সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভলপিং সোসাইটিজ’-এর সমীক্ষায় উঠে এলো এই চমকপ্রদ তথ্য। বলা হয়, ভারতে রাজনীতির এক বড় পুঁজি ধর্ম। ধর্মভিত্তিক বিভাজনের তাস খেলে বিভিন্ন সময় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফায়দা তোলে এক একটি দল। অতীত থেকে বর্তমান-এ ট্রাডিশন চলছেই। কিন্তু এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল একটু আলদা। নির্বাচনী রাজনীতি বাদ দিয়ে দেশে ও সমাজে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানের ছবিটা কীরকম তা তুলে ধরাই ছিল সমীক্ষার লক্ষ্য। গুজরাট, হরিয়ানা, কর্নাটকের মতো যে সমস্ত রাজ্যগুলোতে বিভাজনের মাত্রা বেশি বলে মনে করা হয়, সেখানেও চালানো হয় সমীক্ষা।
এই সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশভক্তির নিরিখেও হিন্দুদের চোখে মুসলিমদের অবস্থান ততটা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা মোটে ১৩ শতাংশ হিন্দু মুসলিমদের দেশপ্রেমিক বলে মনে করে। যদিও ৭৭ শতাংশ মুসলিম অধিবাসীই মনে করেন, তারা তাদের দেশকে ভালোবাসেন।
আরো একটি গুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়। দেখা যাচ্ছে, সংখ্যগরিষ্ঠের মতে গা-ভাসানোর সংখ্যাই বেশি। ফলাফলের ভিত্তিতে মোটামুটি দুটি ভাগ করা যেতে পারে জনগণকে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ও মুক্তমনা। এমন এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল যেগুলি এই সময়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তার উত্তরের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে ৭২ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকেই সমর্থন করেন। ১৭ শতাংশ মানুষ খানিকটা উদার মনোভাবসম্পন্ন হলেও তা বেশ দুর্বল। মোটে ৬ শতাংশ মানুষই সমস্ত গোঁড়ামির বাইরে গিয়ে মুক্তমনা হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন