রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মোদির সঙ্গে দেখা করে কাঠগড়ায় খালেদা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। ‘নিজে যেচে মোদির সঙ্গে দেখা করে কাঠগড়ায় খালেদা’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বৈঠকটির নানা দিক নিয়ে বিশ্লেষণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদার অবস্থানটি নিরুপণের প্রয়াস চালানো হয়। রিপোর্টে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য নিজেই উদ্যোগী হয়ে সময় চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু তাঁর ক্ষণিকের সেই বৈঠকে লাভ কী হল? রিপোর্টে বলা হয়, মোদি ফিরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে বাংলাদেশের সর্বত্র আলাপ-আলোচনায় এখন এটাই প্রধান মুখরোচক বিষয়। সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিএনপি নেতাদের একাংশও মনে করছেন- মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছেন খালেদা জিয়া এবং এর জন্য তাঁর একগুঁয়ে মনোভাবই দায়ী।

রিপোর্টে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়, গত সাধারণ নির্বাচনে দলকে অংশগ্রহণ করতে না-দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এখন কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বিএনপি। সংসদে কোনও প্রতিনিধি না-থাকায় সফরে আসা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে বিএনপি ও তাঁর নেত্রী খালেদা জিয়ার কূটনৈতিক গুরুত্ব তলানিতে ঠেকেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সেই অসহায় অবস্থাটিই হাটে হাঁড়ি ভাঙা হয়ে গিয়েছে মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে। আরো বলা হয়, প্রোটোকল মেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদার আগে সময় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদ, জাসদ-এর হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। রওশন সংসদে বিরোধী নেত্রী, ইনু ও মেনন হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সরকারের শরিক হিসেবে সংসদে তাঁদের বেশ কয়েক জন করে প্রতিনিধি রয়েছেন। তাই খালেদাকে বসিয়ে রেখে তাঁর সামনেই ইনু-মেননদের ডাক পড়ে মোদির সঙ্গে আলোচনার জন্য। সবার শেষে খালেদার জন্য তখন মিনিট দশেক সময় হাতে ছিল মোদির।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, সময় পাবেন না বুঝেই নিজের বক্তব্য একটি কাগজে নোট করে নিয়ে গিয়েছিলেন খালেদা। কিন্তু সেগুলির সব ক’টি তিনি পড়েও উঠতে পারেননি। কিন্তু যে ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নালিশ করেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করেছেন, তাতেও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে ড. মঈন খানের বক্তব্যকে কোড করে রিপোর্টে বলা হয়, বিএনপি নেতা মইন খান অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, ‘মোদি নিজে গণতান্ত্রিক মানুষ। গণতান্ত্রিক পথেই তিনি সমাজের সাধারণ স্তর থেকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে উঠে এসেছেন। সে জন্যই তাঁর কাছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র না-থাকার অভিযোগটি তুলেছেন বিএনপি নেত্রী। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’ নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন সব সংস্থাকে হাসিনা সরকার কুক্ষিগত করে নিজের হাতিয়ার করেছে বলেও খালেদা মোদির কাছে নালিশ করেছেন।

কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে আরো বলা হয়, শুধু নিজের দেশের সরকারই নয়, দিল্লিতে আগের মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধেও খালেদা অনুযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদির কাছে। বিএনপি নেত্রীর অভিযোগ, মনমোহন সরকারের প্রশ্রয়েই ভোটের ‘প্রহসন করে’ শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখল করেছেন। তিনি আশা করেন, মোদির সরকার এই নীতি পুনর্বিবেচনা করবে। মোদি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন তিনি হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করছেন না?

জবাবে খালেদা বলেন, তাঁরা বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও সরকারের আচরণে পিছিয়ে আসেন। মোদি তখন তাঁকে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এড়িয়ে অন্য কোনও পথে হাঁটার সুযোগ সংসদীয় ব্যবস্থায় নেই। আলোচনায় না-বসলে কোনও সমস্যার সমাধানও মেলে না। কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা, এই কথা বলে আসলে খালেদাকে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শই দিয়েছেন মোদি। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনও পথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা যে ভারত মেনে নেবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মনমোহন সরকারের বাংলাদেশ নীতি মেনেই মোদির সরকার চলছে। তাই আগের সরকারের বিরুদ্ধে তোলা খালেদার অভিযোগকেও আমল দেননি মোদি।

রিপোর্টে আরো হয়, ‘বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য যোগাযোগের বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়ে মোদির মন পেতে চেয়েছেন খালেদা। কিন্তু বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগেই সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর দলের নেতা হান্নান শাহ এই যোগাযোগ ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেছেন, এটা আদতে ভারতের দাবির কাছে মাথা নুইয়ে করিডরের সুবিধা দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। এর ফলে বাংলাদেশ বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না। ঢাকা কোনও রাজস্বও পাবে না। তাঁর দাবি অনুযায়ী, যা লাভ হবে সবই ভারতের। একই কথা বলে ভারতের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তির বিরোধিতা করেছে খালেদা জিয়ার জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামিও।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে

আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ‘ডামি’ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আরও হিংস্রবিস্তারিত পড়ুন

চড়াই-উতরাই থাকবে হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনবিস্তারিত পড়ুন

  • দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল
  • আওয়ামী লী‌গ ভিসানীতির পরোয়া করে না : ওবায়দুল কাদের
  • কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন
  • বিএনপি আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা 
  • মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ
  • উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: রিজভী
  • আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতা বিরোধীদের নীলনকশার অংশ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
  • বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়
  • পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেছেন মির্জা ফখরুল
  • ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন 
  • সব পন্থি সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়: ফখরুল
  • মে দিবস হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শপথের দিন : জিএম কাদের