বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে অলংকার তৈরিতে ব্যবহার হয় মানুষের আক্কেল দাঁত!

হাতির দাঁতের কারুকার্য করা অলংকার বা ঘর সাজানোর উপকরণের কথা তো নিশ্চয় শুনেছেন। কিন্তু কখনো কি মানুষের দাঁতের তৈরি কারুকার্যময় নকশার কথা শুনেছেন? কিংবা গয়না? শোনা তো দূরে থাকুক, কখনো কি ভাবতে পেরেছেন যে নিজের দাঁতকে নিয়েই এমন এক অদ্ভূত পরীক্ষা করে বসবে কোন মানুষ? শুধু আপনি কেন, এমনটা হয়তো ভাবতে পারেননি সম্প্রতি নিজের দাঁত দিয়ে নানারকম আনুষঙ্গিক ব্যবহার্য তৈরি করা লুসি ম্যাজেরাসও। বুদ্ধিটা তার মাথায় আসে মুখে আক্কেল দাঁত গজানোর সময়। এই আক্কেল দাঁতটাই যেন অনেকখানি আক্কেল এনে দেয় লুসির আর হাতির দাঁতের পরিবর্তে নিজের দাঁতকেই গয়না, পিন আর বোতাম তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি।

প্রথমটায় নিজের আক্কেল দাঁতকে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন লুসি। কিন্তু তারপরই হঠাৎ তার মনে হয় হাতির দাঁতের কথা। হাতির দাঁতের তৈরি বোতাম, গয়না ইত্যাদির জন্যে একটা সময় প্রচুর হাতি মারা হয়েছে। তাদেরকে মেরেছে মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে এই প্রাণীরা। তবু লোভ যায়নি মানুষের। এখনো মেরে চলেছে তারা বন্য এই প্রাণীগুলোকে। করে চলেছে পোচিং।

কিন্তু কেন এই প্রাণীগুলোকে অকারণে মেরে ফেলা? কেন কেবল হাতির দাঁতকেই মূল্যবান করে তোলা? সাধারণ মানুষের দাঁত দিয়েই তো তৈরি হতে পারে অসাধারণ সব আনুষাঙ্গিক! আর তাই নিজেই চেষ্টা করেন লুসি। তবে তার এই চেষ্টায় বাঁধা পড়ে যখন আরো অনেকগুলো দাঁতের দরকার পড়ে গয়নাগুলোকে পূর্ণাঙ্গ করে তুলতে।কিন্তু গয়না বানাতে গিয়ে তো আর নিজের সবগুলো দাঁত তুলে ফেলতে পারেননা লুসি। তাহলে কী করা যায়! অনেক ভেবে শেষমেশ দাঁতের ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তিনি। সেখান থেকেই প্রচুর পরিমাণ দাঁত সংগ্রহ করেন লুসি। এমনকি নিজের সংগ্রহে তার প্রাক্তন দুই শিক্ষকের দাঁতকেও খুঁজে পান তিনি।

দাঁতের এই অলংকার তৈরি করতে প্রথমে খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নেন লুসি সেগুলো। এরপর সেগুলোকে যন্ত্রের মাধ্যমে কেটে-ছেঁটে একেবারে মুক্তোর মতন গোলাকৃতি দিয়ে ফেলেন। ফলে কর্তক আর শ্বদন্তগুলো হয়ে যায় সুন্দর কিছু আনুষাঙ্গিকের যুৎসই উপাদান। এর মাঝে দাঁতের সাথে লেগে থাকা বাড়তি কিছু অংশকেও ঝেড়ে ফেলেন তিনি। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত ডাচ ডিজাইন উইকে নিজের এই কাজগুলোকে প্রদর্শন করেন লুসি সবার সামনে। আর তার বিনিময়ে পান প্রচুর প্রশংসা আর গ্রহণযোগ্যতা।

নিজের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে লুক্সেমবার্গের মেয়ে লুসি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সামনে মানুষের দাঁতকে দিয়ে আরো অনেক ধরণের নতুন নতুন অলঙ্কার তৈরির। তবে এ পথে লুসি কিন্তু প্রথম কেউ নন। এর আগেও ২০০৯ সালে রূপোর গহনা প্রস্তুতকারক পলি ভ্যান ডার গালস নামক এক নারী দাঁতের তৈরি অলঙ্কার তৈরি করেন। তবে সেগুলো লুসির অলঙ্কারগুলোর মতন এতটা আকর্ষণীয় আর সরাসরি ব্যবহারের উপযোগী ছিলনা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ