মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

যে শিশুর ছবি কাঁদাচ্ছে সবাইকে

মায়ের কোল সন্তানের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। নিজের সবটুকু দিয়ে একজন মা তার সন্তানকে লালন-পালন করেন। তবে সেই মা-ই যখন সন্তানের মৃত্যুর কারণ হয় তখন অনেক প্রশ্নই উঁকি দেয় সবার মনে।

শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। মাত্র চারদিন বয়সী নিজের সন্তানকে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি বেসরকারি ক্লিনিকের ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে তার মা সীমা আক্তার।

সীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। মনির লেবানন প্রবাসী। গত এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

মা-সন্তানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। সীমার এমন পাষণ্ডের মতো আচরণের কারণ খুঁজছে পুলিশও। তাদের ধারণা স্বামীর ওপর সীমার অভিমান এ ঘটনার মূল কারণ হতে পারে।

এদিকে ঘটনার পর ফেসবুকে সীমার শিশু সন্তানের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে- হাসপাতালের সামনের সড়কে পড়ে আছে শিশুটির নিথর দেহ। প্রাণহীন ওই শিশুর দেহ ঘিরে উৎসুক জনতা। হৃদয় বিদারক ওই ছবি দাগ কেটেছে সবার মনে। ছবিটি যেন কাঁদাচ্ছে গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষকে। অনেকেই শিশুটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন।

মনিরুজ্জামান পলাশ নামে এক সংবাদকর্মী শিশুটির ছবি দিয়ে লিখেছেন, আজ যে শিশুর থাকার কথা ছিল পরম আদরে, বাবা-মায়ের মান-অভিমান তাকে নিয়ে গেল লাশকাটা ঘরে।

প্রকাশ দাস নামে আরেকজন লিখেছেন, জীবন চলার টাকা নামক কাগজের কাছে পরাজিত নবজাতকের মরদেহ। নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ, নিথর। যেখানে সকল শব্দেরাই ইতি টানলো। জীবনের কাছে কতটাই না অসহায় আত্মসমর্পণ ছিল সেই মায়ের, যে মা তার চার দিনের নবজাতককে বহুতল ভবন থেকে ফেলে দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল। পরে নিজেও সেই ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে জীবনের শেষ অধ্যায়ের রচনা করে গেল। পেছনে রেখে গেল নানা প্রশ্নের ঝুলি।

পলাশ ও প্রকাশের মতো আরও অনেকেই ফেসবুকে শিশুটির ছবি নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিচ্ছেন।
মা-সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির জাগো নিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করেই সীমা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সীমার মা রেহানা বেগমও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পৌরশহরের পুরাতন জেল রোডস্থ দি ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছাদ থেকে নিজের শিশু সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন সীমা। পরে তিনি নিজেও লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। গত ১৬ অক্টোবর প্রসব বেদনা নিয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী লাইফ কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সীমা। এদিন রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। শুক্রবার সকালে সীমা ও তার সন্তানের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে

চুয়াডাঙ্গায় ১৮ দি‌ন ধ‌রে অব্যহত র‌য়ে‌ছে তীব্র থে‌কে অ‌তি তীব্রবিস্তারিত পড়ুন

রাত ৮টার পর শপিং মল বন্ধের নির্দেশনা

তাপপ্রবাহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিং মলবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭২ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন

  • বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
  • তীব্র গরমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
  • ঢাকাতে রাত ১১টার পর মহল্লার চা দোকান বন্ধের নির্দেশ
  • থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
  • অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
  • ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
  • তিন বিচারপতি আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন