যৌথ প্রযোজনাই একমাত্র ভরসা : ‘ব্ল্যাক’-এর পরিচালক
অবশেষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ব্ল্যাক’। আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশের ৮০টি হলে ছবিটি মুক্তি পাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার ‘ব্ল্যাক’ সিনেমাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু ও ভারতের রাজা চন্দ। ছবিটি গত ২৭ নভেম্বর মুক্তি পায় কলকাতায়। বাংলাদেশেও একই তারিখে মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও সরকারি নির্দেশনার কারণে তা আর মুক্তি পায়নি। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের কিবরিয়া ফিল্মস ও ভারতের দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া।
‘ব্ল্যাক’ ছবিতে নতুন কী আছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু বলেন, ‘আমার ছবিতে বিশেষ কিছু পাবেন না। এটি অন্য দশটা ছবির মতোই। তবে এই ছবির লোকেশন ভালো লাগবে। কারণ ছবির গল্পে যে লোকেশন প্রয়োজন হয়েছে, আমরা সেটাই করেছি। গল্পটা ভালো, মকিং ভালো; বরং মেকিংয়ে নতুন কিছু বিষয় পাবেন দর্শক। এই ছবি কোনো গল্প থেকে আমরা নিইনি। তবে কোনো না কোনো ছবির সিক্যুয়েন্সের সঙ্গে মিলতেই পারে। এই ছবি দর্শকের কাছে মনে হবে বাংলাদেশের ছবি দেখছি। কলকাতা আর আমাদের ভাষা এক।’
মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যখন ধ্বংসের মুখে, তখন যৌথ প্রযোজনাই একমাত্র ভরসা। দর্শক ভালো ছবি দেখতে চায়, কারণ তারা ঘরে বসে সারা পৃথিবীর ছবি দেখছে। ভালো ছবি বানাতে গেলে ভালো বাজেট লাগবে, লাগবে ভালো মেকিং, ভালো শিল্পী। আমাদের বাজারের যা অবস্থা, তাতে যত টাকাই খরচ করুন, সহজে এখান থেকে টাকা তুলে আনা সম্ভব নয়। আবার ভালো ছবি না বানালে দর্শক দেখবে না। টাকা উঠে না এলে সামনে কেউ ছবি বানাবে না, এমনিতেই সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে। হল বাঁচাতে দরকার ভালো ছবি, সেটা যৌথ প্রযোজনা ছাড়া সম্ভব নয়।’
ইদানীংকার যৌথ প্রযোজনার ছবিতে আমাদের শিল্পীদের প্রাধান্য থাকে না। আবার এই যৌথ প্রযোজনার ছবির মাধ্যমে কলকাতার শিল্পীরা বাংলাদেশের বাজার দখল করছে। এতে করে কি বাংলাদেশের শিল্পীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা আমরা কি ভারতের শিল্পীদের হাতে আমাদের বাজার তুলে দিচ্ছি? এর জবাবে পরিচালক লিপু বলেন, ‘আসলে আমাদের দেশের যে শিল্পীরা কাজ করেন, তাঁদের বেশির ভাগই কোনো কোয়ালিটি নেই। হুমায়ুন ফরীদির মতো যে শিল্পীরা ভালো কাজ করতেন, তাঁরা মারা যাওয়ার পর শূন্যস্থান কেউই পূরণ করতে পারেননি। কলকাতার শিল্পীদের মধ্যে যে কি না ছোট একটা চরিত্রে কাজ করছেন, তাঁদের অভিনয় দেখলেও অবাক লাগে। অথচ আমাদের অনেক নায়ক-নায়িকার অভিনয় দেখলে মনে হয়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্ক্রিপ্ট পড়ছেন। এমন অবস্থায় তাঁরা তো এমননিতেই হারিয়ে যাবেন। কোনো ধরনের কোটা সিস্টেম করেও তাঁদের ধরে রাখা যাবে না। শিল্পী নিজে যদি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন, তাঁকে সবাই নিতে বাধ্য হবেন। কলকাতায় বাংলাদেশের জয়া আহসানকে অনেক বড় শিল্পী হিসেবে গ্রহণ করেছে তাঁর অভিনয় গুণের জন্য।’
‘ব্ল্যাক’ ছবিটি গত ২৫ নভেম্বর সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা মিম ও ওপার বাংলার সোহম চক্রবর্তী। এ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সোহমকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন