রমজানে যা করা উচিৎ আর যা করা যাবে না
রমজান মাসের প্রতিটা মুহূর্ত কাজে লাগানোর জন্য আপনাকে মাসের শুরুতেই একটা কাজের পরিকল্পনা নিতে হবে। রোজার সুন্নতগুলো একনিষ্ঠভাবে আদায় করতে হবে। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রস্তুতি হিসেবে দেখে নিতে পারেন বিষয়গুলো। জানাতে পারেন আপনার নিকটজনকে।
নিয়ত :
রোজার জন্য নিয়ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোজা হবে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। এজন্য আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে নিয়ত করতে হবে
ইফতার :
ইফতারের সময় হলে দেরি করা যাবে না এবং সেহরি যথাসম্ভব শেষ সময়ে খেতে হবে।
নিষিদ্ধ কাজ :
সব ধরনের হারাম, মাকরুহ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন সিগারেট খাওয়া, নেশা করা, দাঁড়িয়ে পান করা
সালাত :
বেশি বেশি নামাজ পড়তে হবে। জামায়াতে নামাজ পড়ার অভ্যাস না থাকলে রমজানেই শুরু করতে হবে। তারাবির নামাজ : রমজানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল তারাবির নামাজ। তারাবির নামাজ সুন্নত হওয়ার কারণে অনেকে গুরুত্ব দেয় না। ফরজ না হলেও এটা অবশ্যই পড়তে হবে।
ইতিকাফ :
কারো পক্ষে সম্ভব হলে শেষ ১০ রোজা ইতেকাফ করবেন। ইতিকাফ অবস্থায় সমস্ত সামাজিক কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে। ইতেকাফ মুমিনের জন্য বড় একটি ইবাদত। দোয়া করা : বেশি করে দোয়া করতে হবে। আল্লাহকে বেশি করে স্মরণ করতে হবে। সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হবে আল্লাহকে স্মরণ করার পেছনে।
কুরআন পড়া :
এ মাসে বেশি বেশি কুরআন পড়তে হবে। কারণ এ মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে তাই রমজানে কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত অনেক। আরবি না জানলেও আপনি যে ভাষা জানেন, সেই ভাষায় কুরআন পড়বেন। হাদিস : এই মাসে হাদিস পড়–ন। বুখারী মুসলিম শরিফ পড়–ন। ‘সিয়াহ-সিত্তার’ অন্য হাদিগুলোও পড়া যেতে পারে। এবং বেশি করে রাসুলের জীবনী পড়–ন।
যাকাত :
রমজান যাকাত আদায় করার উপযুক্ত সময়। যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ স্বর্ণ বা এ পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তাকে অবশ্যই যাকাত দিতে হবে। অনেকেই সঠিকভাবে যাকাত আদায় করেন না। যাকাত বেশি দিলে ক্ষতি নেই কিন্তু কম আদায় করলে যাকাত আদায় হবে না।
খুশি থাকা :
রমজান মাসে হাসি-খুশি থাকতে হবে। পরিবারকে বেশি সময় দিতে হবে। ‘সদ্ব্যবহার’ এই মাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ রাখা, প্রতিবেশীর সাথে ভাল ব্যবহার করা ইত্যাদি। কেউ কোন অন্যায় করে থাকলে তাকে ক্ষমা করা কিংবা একইভাবে ক্ষমা পাওয়ার আশা করতে হবে। ইসলাহ বা আত্মসংশোধন : নিজের কিংবা অন্যের দুভাবেই আত্মসংশোধনের চিন্তা করা যায়। অথবা সামাজিক পর্যায়েও আত্মশুদ্ধির কাজ হতে পারে। রমজানে দাওয়াতী (আল্লাহর দিকে আহবান করা) কাজ করা সবচেয়ে প্রয়োজন। এটা মুসলিম অমুসলিম সবার মাঝেই করা যেতে পারে।
ডা. জাকির নায়েক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন