রমজানে রোজদারের রাগ বেশি থাকার কারণ ও করণীয়
ইসলামিক বছরের মধ্য রমজান অন্যতম পবিত্র মাস। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই মাসকে ঘিরে মুসলিম জাহানের কতই না প্রস্তুতি। মুসলমানদের ঘুম, প্রার্থনাসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনই বদলে যায়। আসে সংযম। কিন্তু আরেকটি সমস্যা দেখা দেয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তা হলো রাগ বা ক্রোধ। রোজার মাসে রোজদারদের মেজাজ বেশ চড়া থাকে। কিন্তু তা সামাল দিয়ে চলাতেই তো সার্থকতা।
তাই রমজান মাসে প্রথম যে জিনিসটিকে সামলে রাখতে হবে তা হলো রাগ। কারণ এ সময় যাবতীয় অপকর্মের পেছনে ক্ষুব্ধ মানসিকতার হাত থাকে। রাগ পুষে রেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা বিচার করা যায় না। এ সময় সুষ্ঠু চিন্তার জন্য মাথা ঘোলাটে করে দেয় ক্ষোভ। রাগের মাথায় ভুল করার পর হয়তো নিজের ভুল সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। কিন্তু রোজা রাখা অবস্থায় যেহেতু রাগ কাজ করে, তাই ওই সময়ই বেশি ভুলগুলো ঘটে যায়।
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, রমজানের সময় মানুষের রাগ, বিরক্তিভাব এবং মানসিক অস্থিরতা অনেক বেড়ে যায়। এর পেছনের মূল কারণটি হলো মস্তিষ্কে পানির অভাব ও গ্লুকোজের স্বল্পতা। এ সময়টাতে মস্তিষ্কে ‘গ্রেলিন’ নামের হরমোনের পরিমাণও কম থাকে। এসব কারণেই রাগের সৃষ্টি হয় আর স্নায়বিক সিস্টেমে গোলোযোগ দেখা দেয়।
সমাধানে ইফতারিতে এবং সেহরির আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কমাতে হবে ধূমপান, পারলে রমজানের সুযোগে এই বদভ্যাস ত্যাগ করুন। ক্যাফেইন আর লবণাক্ত খাবারও বাদ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ধৈর্য্যশীলতার চর্চা চালাতে হবে। রাগ সামলে নিয়ে ধৈর্য্য ধরে খোদার কাছে মাফ চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মহানবী।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা কাজে ব্যস্ত থাকেন তাদের সুস্থ মস্তিষ্কে ধীরস্থিরভাবে কাজে ব্যস্ত থাকাই ভালো। নামাজ পড়লে মনটাও শান্ত থাকে। জটিল ও কঠিন পরিস্থিতিতে বিষয়গুলো মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন