রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমীতে ৩ দিন ব্যাপী পার্বত্য বইমেলা শুরু
সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙামাটি প্রতিনিধি :
পার্বত্য বই মেলা হোক সুষ্ঠ সাংস্কৃতির চর্চার আন্দোলন এবং মানবিক বিকাশের মাধ্যম এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য বইমেলা ২০১৭ইং উদযাপন কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমীতে পার্বত্য বইমেলা উদযাপন শুরু হয়েছে। পার্বত্য বইমেলা অনুষ্ঠানটি ১০ তারিখ বিকাল ৩ ঘটিকার সময়ে সুবেশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান উদ্ভোধনী, আলোচনা সভা, সনদ বিতরনী সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পার্বত্য বইমেলা প্রদর্শনীতে মোট ১০ স্থল অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রগতি রঞ্জন খীসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, রাঙামাটি সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলোরাণী আইচ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক আনন্দ বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি চারুকলা ইনিস্টিটিউশন এর প্রতিষ্ঠাতা রতিকান্ত চাকমা, বিশিষ্ট কবি অজিত কুমার চাকমা , বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশন এর ডিপ্লোমা কৃষিবিদ এটিএন কামাল উদ্দিন এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইন্দ্রদত্ত তালুকদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রগতি রঞ্জন খীসা বলেন, চাকমা ভাষা শিখাটা প্রত্যেক আদিবাসীদের অত্যান্ত গুরুত্বপূূর্ন। বইমেলা প্রত্যেক জাতি সত্বার অন্যতম ভূমিকা রাখে।এই মেলা আয়োজনকে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব বক্তব্যকালে সভাপতি ইন্দ্রদত্ত বলেন, বাংলাদেশ সরকারে আদিবাসীদের যে নিজ মাতৃভাষার বই প্রদানের যে পদক্ষেপ নিয়েছেন আমরা অান্তরিক ভাবে স্বাগত জানাই। আজকের অনুষ্ঠানে মোট তিনটি গ্রুপকে চাকমা ভাষা শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও ব্যাচ পাঠদান দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। আমাদের বই পড়ার মধ্যে দিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বইয়ের মাধ্যমে সংগ্রাম, বই মাধ্যমে আমাদের ভাষাকে ধরে রাখতে হবে। বাংলা ভাষার মধ্যে দিয়ে আমাদের নিজ মাতৃভাষাকে অগ্রসর করতে হবে।
অনুষ্ঠান পরিশেষে চাকমা ভাষা শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ ও চাকমা জাতি সত্ত্বার অন্যতম ঐতিহ্য গেংহুলী প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাজেকে ডাম্প ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে শিজকছড়া-উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রিবিস্তারিত পড়ুন
ভূমিধসে তিন সন্তানকেই হারালো যে দম্পতি
বান্দরবান শহর থেকে দুতিন কিলোমিটার দূরবর্তী এক পাহাড়ী গ্রাম লিমুভিরি।বিস্তারিত পড়ুন
৫ জুন রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ
শুক্রবার রাঙামাটির লংগদুতে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনার জের ধরেবিস্তারিত পড়ুন