রাস্তায় অসহায় নারীর বস্ত্রহরণ’ আরেকবার ধিকৃত হলো বিশ্ববিবেক
একটি দেশ বা জাতি সম্পর্কে ঢালাও মন্তব্য করার মতো ঘোর সাম্প্রদায়িকতা কিংবা নীচতা দেখানো উচিত নয়। তবুও অস্ফুটে একটি কথা মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে। হায় ভারত তোমরা এ কেমন জাতি। এ কোন ধরণের বর্বরতা তোমাদের। যখন তোমরা আমাদের তৃষ্ণার্ত করেছিলে ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে তখন কিছু বলিনি। কারণ আমাদের কিছু করার ছিল না। শুকিয়ে কাঠ হওয়া গলায় যখন ঘষে আগুন দেয়ার মতো টিপাইমুখ বাধেঁর কথা বললে তখনো আমরা নীরব ছিলাম।
আসলে কি আমাদের নীরব থাকতে হয়েছে। আমরা অতি শোকে পাথর হয়ে নিজেদের বাকশক্তি হারিয়ে ফেলতে বসেছি। কিন্তু তখন আমরা আর নিশ্চুপ থাকতে পারিনি। যখন বাংলাদেশী অসহায় গরু বিক্রেতার উপর যখন হামলে পড়েছিল বি এস এফ এর শকুন। তখন দেশের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিদের অনেকেই মুখে কুলুপ এটেঁ বসে ছিলেন। কিন্তু চুপ থাকেনি অনলাইন একটিভিস্টরা। তারা আগুণ ঝরিয়েছে। তাদের প্রতিবাদে আর যাই হোক পুরু বিশ্বে ধিকৃত হয়েছে বি এস এফ।
এখন খোদ ভারতেই ঘটলো পৈশাচিকতা। একজন অসহায় কিশোরীর উপর হামলে পড়লো কিছু বর্বর পাষণ্ড। বিশ্ববিবেক আবার ঘৃণায় রি রি করে উঠলো যখন এই ভারতেরই গোহাটীতে এই সপ্তদশীর বস্ত্রহরণ করা হলো। পঞ্চপাণ্ডবের পীঠস্থান এই দেশটিতে এমন কিছু ঘটনা হরহামেশাই ঘটে যা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়ে যায়। কিন্তু পাষাণ হৃদয়ের এদেশীয় কিছু পাষণ্ড কর্তার বিষ্ঠায় সুগন্ধ পাওয়ার ভঙ্গিতে তাদের গুণগান করে চলে। তাই আমি দেশের তথাকথিত শুশীল ভেকধারী বুদ্ধিপসারিনীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা তো কতো কলাম প্রসব করেন। কিন্তু টেলিগ্রাফের এই নিউজ কি আপনাদের চোখে পড়ে না। নাকি আপনারা দেখেও না দেখার ভান করেন। আসলে আপনারা আর যাই হোক প্রভুকে চটাতে চান না। ধিক আপনাদের শুশীলতাকে। ধিক আপনাদের এই নির্জিবতা।
ধিক্কার এই বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতাকে। মানবতার মুক্তির জন্য এই অপকর্মের প্রতিবাদ হওয়া উচিত বিশ্বব্যাপী। আমি বিশেষ করে এই প্রতিবাদ জানাচ্ছি পুরো বিশ্বের লাখো অনলাইন একটিভিস্টের কাছে। এই পোস্ট ওয়ার্ডপ্রেসের সকল ব্লগার মাধ্যমে বিশ্ববিবেকের কাছে তুলে ধরছি। এটার ইংরেজী আরেকটি ভার্সন ড্রাফট করছি দ্রুতই। অত্যন্ত রাগ আর আবেগের লেখায় ভুল থাকাটা স্বাভাবিক। এখানে পোস্টশৈলী প্রদর্শনের সুযোগ হয়নি। তাই ভূলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন আশাকরি।
ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা Telegraphindia তার একটি খবরে প্রকাশ করে এই অমানবিক খবরটি। সেখানে তিন পাষন্ডকে এই অপকর্মের জন্য গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। সেখানে আদিবাসীদের সাথে দাঙ্গা চলাকালীন সময়ে একজন কিশোরীর বস্ত্রহরণ করা হয়। রাস্তার উন্মাদ যুবকদের সেলফোন থেকে অসহায় সে নারীর বিবসনা ছবি ধারণ করা হয়। অসহায় কিশোরী যখন রাস্তায় দৌড়াচ্ছিল তখন রাস্তায় পাষণ্ডদের অট্টহাসির রোল ওঠে। এই ইউটিউব ভিডিওতে তেমনি দেখা গেছে । টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ছাপা হওয়া খবরটিও তাই ।
কিন্তু সেখানে সতর্কভাবে আরেকটি খবর চেপে যাওয়া যায়। একজন ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগার ও আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডের ব্লগে আরেকটি ছবি পাই। সেখানে ঐ মেয়েটিকে কাঠের সাহায্যে পিটাতে দেখা যায় এক ষণ্ডামার্ক যুবকে। সেখানেও সে বস্ত্রহীন অবস্থায় রয়েছে। জঘন্য এই অপকর্মের ভিডিওটিও প্রকাশ করেছে ইউটিউবে।
তিনজন ষণ্ডামার্ক যুবক খ্যাপা কুত্তার মতো ঐ নারীর উপর হামলে পড়ে তাকে স্ট্রিপিং করে। এরপর জীবন বাঁচাতে মেয়েটি গোয়াটির রাস্তায় প্রাণপণে দৌড়াতে থাকে। এসময় আরেকদফা লালসার শিকার হয় ভারতের লম্পট যুবকদের । তারা মোবাইলে ঐ মেয়েটির ছবি ধারণ করতে থাকে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে ভারতের ঐ পত্রিকা একজন প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে তারা শুধু মেয়েটিকে স্ট্রিপিং করেই ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাদের ভাব প্রকাশের ভাষা এতোটাই জঘন্য যে তাতে মনে হয়েছে এহেন স্ট্রিপিং কোনো অন্যায় না।
ঐ বালিকাটি যখন রাস্তায় পাগলের মতো দৌড়ে নিজের জীবন আর সম্ভ্রম বাচাতে চেষ্টা করছিল তথা কেউ সহসা তাকে বাচাতে এগিয়ে আসেনি। এমনকি পুলিশ তখন কি করছিল সে প্রশ্নের ও কোনো জবাব মেলেনি। বিশ্বমানবতার প্রতি ধিক্কার সৃষ্টিকারী এই অপকর্মে সত্যি আমি মত প্রকাশের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন