রায়ের কপি আজই পাঠানো হবে কারাগারে
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ করে
দেওয়া রায়ের কপি আজই ট্রাইব্যুনাল ও কারাগারে পাঠানো হবে।
এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, রিভিউর রায়ের কপি বের হওয়ার পর জানানো হবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চান কিনা। রিভিউ কার্যক্রম নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির বিষয়টি স্থগিত থাকবে। তিনি যদি রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণ ভিক্ষা না চান তাহলে সরকার তার ফাঁসির কার্যক্রম শুরু করবে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই রায় দেন। বেঞ্চের অন্য চার সদস্য হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
এর আগে গত রবিবার আদালতে রিভিউয়ের শুনানি শেষ হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন মীর কাসেমের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মীর কাসেমের আইনি লড়াইয়ে রিভিউ আবেদনই শেষ ধাপ। মঙ্গলবার এই আবেদন নাকচ হলে ফাঁসি এড়াতে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।
দণ্ড মওকুফ চেয়ে ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরেছেন মীর কাসেমের আইনজীবী।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর পক্ষে আপিল করেন জয়নুল আবেদীন তুহিন। মীর কাসেমের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়েছে।
আরো পড়ুন…
প্রাণভিক্ষা কি চাইবেন মীর কাসেম
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭২ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন
মূল্য ৭ কোটি: পঞ্চগড়ে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকাল পৌনে ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জবিস্তারিত পড়ুন
বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট নিয়ে আদেশ
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার প্রকাশিত গেজেট বিষয়েবিস্তারিত পড়ুন