লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা, আসছে অবৈধ অস্ত্র
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আনাগোনার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের আমদানি বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলার সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। তাদের মধ্যে কেউ পুলিশের চিহ্নিত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সন্ত্রাসীদের আনাগোনায় ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে হবে কিনা— এমন প্রশ্ন এখন সুদূর পরাহত। এলাকাবাসীদের একজন বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের ভয়ে রাতে তো ঠিকমতো ঘুমাতেই পারি না। ভোট দেওয়া তো অনেক পরের ব্যাপার।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সোনাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী সভায় হামলা চালিয়ে নির্বাচন থেকে তাকে বিরত থাকার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকতিয়ার উদ্দিন সোহাগ।
উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে দুর্বৃত্তরা হুমকি দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইলিয়াছ হাওলাদারকে। ইলিয়াস জানান, শনিবার দুপুরে দুর্বৃত্তরা তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে। তিনি দাবি করছেন, দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের সমর্থক।
এছাড়াও কেরোয়া ইউনিয়নেও নির্বাচনের আগে অরাজকতার নানা অভিযোগ এসেছে।
৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাজান কামাল বলেন, ‘সাধারণ ভোটারসহ জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করতেই বিএনপি-জামায়াতের লোকজন এসব সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনে হত্যাসহ ব্যাপক সংঘাত অনিবার্য।’
সাধারণ ভোটার, প্রার্থীরা যখন অবৈধ অস্ত্র আমদানির কথা বলছেন, তখন রায়পুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানালেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় অবৈধ অস্ত্র আসার বিষয়টি তিনি অবগত নন।
তিনি বলেন, ‘সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা যেন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রতিরাতেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের আগের দিন রাতে কোনো প্রার্থী কেন্দ্রের ভেতরে ও ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে দেখলেই সরাসরি বুকে গুলি করার কথা বলে দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, রায়পুরের পাঁচটি ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল নির্বাচন হবে। চেয়ারম্যান পদের লড়াইয়ে নেমেছেন ১৪ জন। ৪৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে ১২০ ও ১৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামী ২৯ জুলাই থেকে চালুবিস্তারিত পড়ুন
রায়পুরায় বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, ঘরের ছেলে ঘরেবিস্তারিত পড়ুন