বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

লেসবিয়ান নারীর টিকে থাকার গল্প

চীনে অবিবাহিত তরুণীদের উপর বিয়ের জন্য প্রচুর চাপ দেওয়া হয় পরিবার থেকে। আর এ অবস্থায় আপনি যদি একজন সমকামী নারী হন তবে কী করবেন? চীনের ওউ জিয়াওবাই নামের ৩২ বছর এক সমকামী তরুণী কীভাবে বিয়ে করেও তার স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রেখেছেন সে বিষয়টির বর্ণনা দিয়েছেন। সম্প্রতি বিবিসিতে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদনটি।

জিয়াওবাই বলেন, নিজেকে রক্ষার পাশাপাশি সারাজীবন আমার প্রেমিকার সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলাম আমি। আর এ কারণেই ২০১২ সালে এক সমকামী পুরুষকে বিয়ে করি।

সেই সময়ে বেইজিংয়ে প্রেমিকার সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছিলাম আমি। তবে ডালিয়ানে থাকা আমার অবিভাকরা আমার বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। আমি বিষয়টি কোনোভাবেই এড়াতে পারছিলাম না।

তবে আমার এ পরিস্থিতি অতিক্রম করা এক দশক আগে আরও সহজ ছিল। কারণ সেসময় সমকামিতা নিয়ে খুব কম সচেতনতা ও সন্দেহ ছিল।

আমার বাবা-মা আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আমি কাউকে পছন্দ করি কিনা। আর আমার বাবা মারা যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে কারণ আমার মায়ের মনে হচ্ছিল আমি কারও সঙ্গে এখন ঘর বাধার পরিকল্পনা করছি না। এরপর থেকে প্রতি বছর- কয়েক মাসের জন্য তিনি আমার সঙ্গে এসে থাকতে শুরু করলেন।

আমি বুঝতে পারলাম বিয়ে কোনোভাবেই আমার পক্ষে এড়ানো সম্ভব নয়। আমি আমার বন্ধুদের কাছে সহায়তার জন্য যাই এবং সেখান থেকেই আমি ‘পাতানো বিয়ের’ কথা জানতে পারি।

এক পর্যায়ে এক বন্ধুর মাধ্যমে আমার স্বামীর কথা জানতে পারি আমি। ব্যক্তি হিসেবে সে খুবই ভালো। সে আমাকে ও আমার প্রেমিকাকে পছন্দ করে, সে ও তার প্রেমিকের সঙ্গে বহু বছর ধরে আছে এবং কখনোই প্রকাশ্যে আসেনি।

আমি জানি ওই সময়ে আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম।

আমাদের বিয়ের সময় আমার প্রেমিকাই আমাকে সাজিয়েছিল।

আমার সিদ্ধান্তে সে খুব আনন্দিত হয়েছিল এবং সিদ্ধান্তকে সে সমর্থনও করেছিল, একই সঙ্গে আমার বরের প্রেমিকও সমর্থন দিয়েছিলেন। আমরা চারজন এক সঙ্গে মিলেই এ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

আমার বিয়ের পর পরিবারের আনন্দ দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। এভাবেই আমরা প্রতেক্যের চাওয়াটাকে পূর্ণতা দিতে পারি। আমার পরিবার এটা জেনে খুশি হয়েছে যে তাদের মৃত্যুর পরও আমাকে দেখার জন্য কেউ আছে, অপরদিকে আমার স্বামীর সহকর্মীরাও তাকে কোনো মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে না।

প্রথমে আমরা দুজন পারিবারিক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিতাম। কিন্তু গত কয়েক বছরে আমাদের পরিবার ও সহকর্মীরা এটা জেনে গেছেন যে আমরা সংসার করছি এবং আমাদের দম্পত্তি হিসেবে আর অভিনয় করতে হয় না।

আমি আমার প্রেমিকার সঙ্গে থাকি এবং আমার স্বামী তার প্রেমিকের সঙ্গে। আমরা যেহেতু ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছি তাই আমারা প্রায়ই রাতে একসঙ্গে খেতে যাই।

আমার যেসকল বন্ধু আমার যৌনতার আগ্রহের বিষয়ে জানতো তারা আমার বিয়ের পর আমার কাছে সহায়তা চাইতে শুরু করল। এরপর আমার প্রেমিকা ও আমি বুঝতে পারলাম অনেক মানুষই রয়েছে যারা সহায়তা খুঁজছেন।

শুধুমাত্র চীনে বাস করা ৭০ মিলিয়ন সমকামী নারীই নয় বরং কয়েক মিলিয়ন নারী যারা সমকামী পুরুষদের বিয়ে করেছেন তারাও সহায়তার খোঁজ করছেন।

এরপর আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইহোমো নামে নামে একটি সহায়তা কেন্দ্র খুলি। এরপর এক বছরের মধ্যে আমরা প্রায় ৮০টি ইভেন্টে এবং ১০০ বিয়ের আয়োজন করি। এখন আমরা আইহোমো নামের একটি অ্যাপ নিয়ে কাজ করছি।

যদিও আমি বুঝতে পেরেছি যে এই বিয়ে অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতো। তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা যদি একই শহরে বাস করেন তবে তাদের কৌশলে চলতে হয়। কেউ হঠাৎ করে তাদের বাড়িতে আসলে হয়তো তাদের বিয়ের সত্য জেনেও যেতে পারেন। তাই এ বিষয়ে তাদের খুব সাবধানতা অবলম্বন করেই চলতে হয়।

সন্তান সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দম্পত্তিরা যদি আইভিএফের মতো কোনো পদ্ধতি বেঁছে নেন তবে কিছু প্রশ্ন আসে। এক্ষেত্রে কি জন্মদাতাই কী সন্তানের লালন-পালন করবেন। যদি তাই হয় তবে তাদের এক সঙ্গে বাস করতে হবে। এটা খুব কঠিন হয়ে যায়।

সন্তানের প্রশ্নের সমাধান আমরা প্রায় করে ফেলেছি। আমরা এখন আমার প্রেমিকার জন্য একজন বর খুঁজছি।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থাকাবস্থায়ই তার বাবা-মা তার যৌনতার আগ্রহের কথা জানতে পারেন। আমরা দুজন প্রতি সাপ্তাহিক বন্ধের দিনই তাদের সঙ্গে দেখা করি। তার বাবা-মায়ের ভয় হচ্ছে পরিবারের অন্য সদস্যরা যদি মেয়ের যৌনতার আগ্রহের কথা জেনে যান। বিশেষ করে তার দাদি যে তার বিয়ের জন্য ব্যাকুলভাবে অপেক্ষা করছেন।

আগে কিংবা পরে হোক আমার পরিবারের সদস্যরা হয়তো জানবেন আমাকে আমার যৌনতার আগ্রহের কথা গোপন রাখতে হয়েছিল। তবে আমি বিশ্বাস করি চীনা সমাজ সমকামী সম্প্রদায়ের প্রতি সহনশীল হবেন এবং ভবিষ্যতে হয়তো আমার মায়ের জন্যও এটা মেনে নেওয়া সহজ হবে। আমি চাই পরিবার আমার সত্যটা মেনে নিক।

আমি এবং আমার প্রেমিকা সমাজকে আমাদের কথা বোঝানোর জন্য সহায়তা করতে চাই, তবে বড় গলা কিংবা আক্রমণাত্মক হয়ে বলাটা হয়তো সবচেয়ে ভালো কৌশল নাও হতে পারে। আমরা এই পাতানো বিয়ে করেছি সামাজিক সমস্যার বেঁড়াজাল থেকে মুক্তি এবং সমকামীরা যেন তাদের চাহিদাকে পূর্ণতা দিতে পারেন সেজন্য। আমাদের অধিকারের বাস্তবায়নটা অনেক কঠিন হবে সেটা আমরা জানি তবে আমরা যেটাকে বিশ্বাস করি সেটা পাওয়ার জন্য লড়াই করে সামনে এগিয়ে যাব।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ