শনিবার, মে ৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

এরশাদের সামনেই কর্মীদের ক্ষোভের মুখে কাঁদলেন রওশন!

তৃণমূলের কর্মীদের ক্ষোভের মুখে কেঁদে ফেললেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের যৌথসভায় এ ঘটনা ঘটে।

রওশনের বক্তৃতা চলাকালে দর্শক সারি থেকে কয়েকজন নেতা জানতে চান এরশাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা কবে প্রত্যাহার হবে? এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে তারা রওশনকে অনুরোধ করেন। তবে বিরোধীদলীয় নেতা মামলার প্রসঙ্গে কথা না বলে বক্তব্য চালিয়ে যান। ক্ষুব্ধ কর্মীরা তখন আসন ছেড়ে মঞ্চের সামনে জমায়েত হয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করেন।

তৃণমূলের নেতাদের কয়েকজন রওশনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা এরশাদের জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করে এমপি হবেন, সরকারের সুবিধা ভোগ করবেন অথচ এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে নিশ্চুপ থাকবেন, তা হবে না। মামলা প্রত্যাহার না হলে সরকারে থেকে কী লাভ!’

পরিস্থিতি শান্ত করতে জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার আসন থেকে উঠে মাইক নেন। তিনি কর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ম্যাডামের কথা আপনারা শুনুন। উনি সংসদে স্যারের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি তুলবেন।’ এরশাদ তখন নিজ আসনেই নীরবে বসে ছিলেন।

কর্মীদের আচরণে বিব্রত রওশন এরশাদ এরপর বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে না হলেও একশবার বলেছি। প্রধানমন্ত্রী করব করব বলেন।’ রওশন একপর্যায়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নেতার জন্য কষ্ট পাও, কিন্তু উনি তো আমার স্বামী। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা। আমার স্বামীর কষ্ট আমার চেয়ে আর কে বেশি বুঝবে?’

রওশন দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘অনেকে বলেন আমরা কারো ক্ষমতা যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হবো না। আমাদের শক্তি নেই তাই আমরা ব্যবহার হই।’ আগামী নির্বাচনে জাপাকে যেন কারো স্বার্থে ব্যবহৃত হতে না হয়, সেজন্য জাপাকে শক্তিশালী করতে দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানান রওশন এরশাদ।

সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ তার জন্য স্ত্রী রওশনের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। কর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, ‘বিনা দোষে তাকে (রওশন) তিনবছর কারাগারে রেখেছিল। তার সাথে মাসুম শিশুটিও ছিল। ডিভিশন চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু দেয়নি। জেলে থাকার কারণে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে পারে নাই। ছেলের জীবনটা ধ্বংস করলাম শুধু অন্ধকার কারাগারে থাকার কারণে।’

আগামী ১ জানুয়ারি জাপার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের মহসমাবেশ সফল করতে সোমবারের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার নেতারা যোগ দেন। সভায় আরও বক্তৃতা করেন কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের এমপিরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেছেন মির্জা ফখরুল

পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জাবিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন 

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনকে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকবিস্তারিত পড়ুন

সব পন্থি সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুধু ডান আরবিস্তারিত পড়ুন

  • মে দিবস হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শপথের দিন : জিএম কাদের
  • প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন 
  • হেফাজত নেতা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন
  • খালেদা-তারেককে বাদ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি
  • থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
  • জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুবকে অব্যাহতি
  • খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী
  • শ্রমিক অধিকার নিয়ে নালিশের নিষ্পত্তি নভেম্বরে: আইনমন্ত্রী 
  • বিএনপির কেন্দ্রীয় ৩ নেতার পদোন্নতি
  • বিএনপি মানে খাইখাই, আ.লীগ মানেই দেই-দেই: প্রধানমন্ত্রী
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া