শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে কি কসর নামাজ পড়তে হবে?
প্রশ্ন : কসর নামাজ সম্পর্কে আমাকে জানাবেন? স্থায়ী ঠিকানা যেমন— বাবার বাড়ি বা শ্বশুরবাড়িতে অল্প কিছুদিনের জন্য গেলে কি কসর পড়তে হবে? আমার শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বাইরে।
উত্তর : যদি কোনো ব্যক্তি সফর অবস্থায় থাকেন, তার জন্য ইসলামের বিধান হচ্ছে তিনি সালাত কসর করবেন। এর অর্থ হচ্ছে তিনি চার রাকাত বিশিষ্ট যে সালাতগুলো আছে, সেগুলোর দুই রাকাত আদায় করবেন। শুধু কসর চার রাকাত বিশিষ্ট সালাতের মধ্যে। দুই রাকাত অথবা তিন রাকাত বিশিষ্ট যে সালাতগুলো আছে, যেমন সালাতুল মাগরিব, সালাতুল ফজর, এর কোনো কসর নেই। অর্থাৎ এটাকে অর্ধেক করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং শুধু আসর, এশা এবং জোহরের ওয়াক্তে আপনি কসর করবেন। তবে আপনাকে সফররত থাকতে হবে।
সফররত অবস্থা দুটি— একটি হচ্ছে আপনি গাড়িতে সফর করে আছেন। তখন আপনি মুসাফির। যেখানেই আপনি যান না কেন, তখন আপনি কসর করবেন। দ্বিতীয় হচ্ছে আপনি এমন দূরত্ব অতিক্রম করেছেন, যে দূরত্ব অতিক্রম করলে স্বাভাবিকভাবেই সফর বলা হয়ে থাকে। যেমন— এক জেলা থেকে আরেক জেলা বা এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় আপনি গেছেন। তাহলে সেটা আপনার জন্য সফর। তখন আপনি কসর করবেন।
আর আপনি যদি নিজের ব্যক্তিগত বাড়িতে যান, সেখানে আপনার আত্মীয়স্বজন সবাই আছে, বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা আছে, খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, তাহলে সেখানে গেলে আপনি মুসাফির হবেন না। বাড়িতে গলে মুকিমই। একামতের নিয়ত করবেন। সেখানে আপনি সালাত পরিপূর্ণরূপে আদায় করবেন, যেহেতু আপনি নিজের বাড়িতে গেছেন। সুতরাং সেখানে আপনাকে কসর করতে হবে না।
তেমনিভাবে কেউ যদি নিজের শ্বশুরবাড়িতে যায়, আর যদি সেখানে সব কিছুর ব্যবস্থাপনা থাকে, তাহলে তিনি কসর করবেন না। কারণ হলো তিনি নিজের পরিবারের কাছে গেছেন। কিন্তু যদি এমন হয় যে, শ্বশুরবাড়িতে গেছেন, সেখানে তেমন কোনো ব্যবস্থাপনা নেই, থাকার ব্যবস্থা নেই, পরিবারের কেউ নেই, সবাই সেখানে বাইরের অথবা নিজেই গেছেন সেখানে মুসাফিরের মতো, যদি এমনটি হয়ে যায় তাহলে তিনি মুসাফির। কারণ সেখানে যদি কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকে পরিবার বা আত্মীয় বলতে কেউ না থাকে, তাহলে সেখানে তিনি মুসাফিরই। তাহলে সেখানে তিনি কসর করবেন।
আর এক জেলা থেকে আরেক জেলার দূরত্ব সফরের জন্য, ওলামায়ে কেরাম এ নিয়ে যথেষ্ট এখতেলাফ বা মতবিরোধ করেছেন। কেউ তিন মাইলের কথা উল্লেখ করেছেন, কেউ ১৬ মাইলের কথা উল্লেখ করেছেন, কেউ ৪৮ মাইলের কথা উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ ৫৪ মাইলের কথা উল্লেখ করেছেন। অনেক বক্তব্য ওলামায়ে কেরামের আছে। প্রত্যেকটি বক্তব্যই মূলত ইজতেহাদ নির্ভর। কিন্তু মোদ্দা কথা হচ্ছে, যেটাকে সফর বোঝায়, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় স্বাভাবিকভাবে যখন কোনো ব্যক্তি সফর হিসেবে গ্রহণ করে থাকে, সেই সফর যদি কেউ করে থাকে, তাহলে তিনি মুসাফির। তখন তিনি কসরের নিয়তে সালাত আদায় করবেন। এটাই তার জন্য ইসলামী শরিয়তের বিধান।
এমনকি নিজ বাড়িতে গেলেও যদি কোনো ধরনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে সেখানেও তিনি যাবেন মুসাফির হিসেবে। সেখানেও তিনি কসর আদায় করবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন