সন্তানের মৃত্যুর অনুমতি চেয়ে বাবার আবেদন

সন্তানদের দুরারোগ্য রোগের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তাদের মৃত্যুর ব্যবস্থা করার অনুমতি চেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন এক বাবা। আবেদনটি আইনসিদ্ধ নয় উল্লেখ করে পরিবারটিকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মেহেরপুরের বেড়পাড়ার বাসিন্দা তোফাজ্জেল হোসেন। প্রতিবন্ধী স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বড় ছেলে আব্দুস সবুর জন্মের পর থেকেই ‘ডুফিনি মাসুকলার ডিসট্রোফি’ রোগে আক্রান্ত। প্রথম দিকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা করিয়ে কোনো উন্নতি হয়নি। পরে ভারতে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তার এ রোগ সনাক্ত করেন।
কিছুদিন পর ছোট ছেলে, মেয়ে এবং মেয়ের সন্তানেরও একই রোগ দেখা দেয়। তাদের চিকিৎসা করাতে নিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান তোফাজ্জেল হোসেন। সন্তানদের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের মৃত্যুর ব্যবস্থা করার অনুমতি চান তিনি।
তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এই রোগের লক্ষণ পরিবারে সবার মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। ডাক্তার বলেছে আমার পরিবারে বা শ্বশুরের পরিবারে কারো এই রোগ ছিলো বলেই পরিবারের অন্যরাও রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আক্রান্ত ছেলে আবদুস সবুর জানেনই না স্বাভাবিক জীবন কাকে বলে। চিকিৎসকদের মতে, বংশগত কারণেই সন্তানদের মধ্যে এ রোগ দেখা দেয়।
মেহেরপুরের শিশু বিশেষজ্ঞ ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, এটি একটি বংশানুক্রমিক রোগ। এর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। একটি মাত্র ওষুধ আছে নাম ফলিসল। সেটা খেলে তারা কিছুটা ভালো থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসন বলছে, মৃত্যুর ব্যবস্থা করার আবেদন আইনসিদ্ধ নয়। প্রশাসন পরিবারটিকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খায়রুল হাসান বলেন, এই বাবাটিকে দেখে যেটা মনে হয়েছে তিনি খুবই অসহায়। তার আসলে করার কিছু নেই বলেই এমন আবেদন লিখেছেন।কিন্তু আত্মহত্যা তো আইনসিদ্ধ নয়। তবে তাদের ভালো চিকিৎসার জন্য আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। আমরা স্থানীয় পর্যায়েও কিছু করার চেষ্টা করছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন