সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সমৃদ্ধ দেশ গঠনই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন : অর্থমন্ত্রী

‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত করে গেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন শোষণমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী একটি দেশের। আজ আমরা উন্নত দেশের দ্বারপ্রান্তে। এ দেশকে সমৃদ্ধশালী একটি দেশে রূপান্তরিত করার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করা সম্ভব’ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান এম. খায়রুল হোসেন। এ সময় সংস্থার পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অন্যান্য শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। একসময় আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে সহজ শর্তে যে ঋণ নিতাম এখন আর আমাদের তা প্রয়োজন হয় না। বরং আমাদের চেয়ে যেসব দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাদেরকে সে ঋণ দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম আর রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৯০ বছরের ব্রিটিশ স্বৈরশাসনের পতন ঘটানো হলেও পরবর্তীতে পাকিস্তানিরা ২৩ বছর এ দেশকে শাসনের নামে শোষণ করেছে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশকে স্বাধীন করলেও ’৭১ এর পরাজিত শত্রুরা এ দেশের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। আর অন্যদিকে বাংলাদেশকে তলাহীন ঝুড়ি আখ্যায়িত করতে সচেষ্ট থাকে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলার নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষণ চালানো হয় যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য। দেখা যায়, স্বাধীনতাযুদ্ধে আমাদের মোট জাতীয় আয়ের তিন পঞ্চমাংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং লুটপাট করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন আন্তর্জাতিক নেতা, যা অনেক দেশ মেনে নিতে পারছিল না। কারণ, তিনি বেঁচে থাকলে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের শোষিত গণমানুষের দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়ে উঠবেন। যা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মেনে নিতে পারেনি। আর তাদেরই চক্রান্তে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর তিনি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে সময় আমি বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এখনো চলছে। কেন তিনি দেশে ফিরে এ গুরুদায়িত্ব হাতে নিলেন।

তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ১৫টি বছর তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন। মানুষকে বুঝিয়েছেন। একপর্যায়ে ’৯০ সালে স্বৈরশাসনের পতনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৬ সাল থেকেই মূলত দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা শুরু হয়। যা গত দুই দশক ধরে অব্যাহত রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা যে স্বপ্ন জাতিকে দেখাচ্ছেন তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এজন্য এ সরকারকে আবার ক্ষমতায় যেতে হবে। না হলে উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭২ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্যবিস্তারিত পড়ুন

তীব্র গরমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২বিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকাতে রাত ১১টার পর মহল্লার চা দোকান বন্ধের নির্দেশ
  • থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
  • অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
  • ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
  • তিন বিচারপতি আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন
  • বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাচ্ছে গোলাপি চাঁদ
  • মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি