ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সাজানো শুরু হয়েছে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়। এছাড়া আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলন ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আলোকসজ্জা করার পরিকল্পনা করেছে দলটি।

সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপপরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনকে বর্ণিল সাজে সাজাতে মূল উপকরণ হিসেবে থাকবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র। রাজধানী ঢাকার অলিগলি থেকে উপজেলা পর্যায় ও মহাসড়কগুলোতে আলোকসজ্জার পাশাপাশি থাকছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার ও বিলবোর্ড।

আর এরই অংশ হিসেবে সম্মেলনের প্রায় এক মাস আগেই দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় সাজানো শুরু করেছে সাজসজ্জা উপপরিষদ। রোববার সকালে কার্যালয় গিয়ে দেখা গেছে, কার্যালয়ে প্রবেশের উত্তরমুখী সড়কে মরিচবাতি লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেকোরেটরের কর্মীরা।

কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু রাজনৈতিক কার্যালয় নয়, ধানমণ্ডির ৩/এ পুরো সড়কটি আলোকসজ্জা করা হবে। সম্মেলন শেষ হওয়া পর্যন্ত চলবে আলোকসজ্জা। সেট-আপ সিস্টেম নামে একটি ডেকোরেটর এ লাইটিং করার কাজ পেয়েছে। ধানমণ্ডির লাইটিং ২৮ তারিখ সম্মেলন শেষ হওয়া পর্যন্ত চলবে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মী আব্দুল গাফফার জানান, তিন দিন ধরে তারা এখানে আলোকসজ্জার জন্য কাজ করছেন। শুধু ধানমণ্ডি নয়, পুরো ঢাকা শহরের লাইটিংয়ের কাজ তারা পেয়েছেন। সেট-আপ সিস্টেমের মালিক ইকবাল বলেন, ধানমণ্ডিতে আলোকসজ্জার কাজ আগামী দুই দিনের মধ্যে শেষ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয়ও সাজানো হচ্ছে। গতকাল (৮ অক্টোবর) থেকে গণভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এলাকায় আলোকসজ্জার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লাইটিং কাজে নিয়োজিতরা। সোমবার শুরু হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিমানবন্দর অংশের আলোকসজ্জার কাজ। এ কাজ ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করা হবে।

ডেকোরেটরের ইকবাল জানান, সম্মেলন উপলক্ষে মূল আলোকসজ্জা করা হবে ১৯-২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আলোকসজ্জার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জা করা হবে। তার মধ্যে রয়েছে মরিচবাতি, ফানুস, চায়না লণ্ঠন, এলইডি লাইটিংসহ বিভিন্ন ধরনের লাইটিং।

এ দিকে সম্মেলনের মঞ্চ ও সম্মেলন স্থলেও প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপপরিষদ নেতারা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেছেন। সেখানে প্যান্ডেল তৈরি, মঞ্চ তৈরি ও অন্যান্য কাজের জন্য বাঁশ পোতা শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপপরিষদের আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশের সব আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। তাই দেশের মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। তাই দেশের মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করতে আমরা কাজ করছি।