রেপড হওয়ার সময়ে মেয়েরা বেছে বেছে এমন ব্লাউজ পরে আসে যা একটু টানাটানিতেই ছিঁড়ে যায়। ভিলেনরা মেয়েদের আঁচল ধরে টানতে শুরু করলেই মেয়েরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গোল হয়ে ঘুরতে শুরু করে, যাতে পাকে পাকে সহজেই খুলে আসে শাড়ি।

মূল ধারার হিন্দি সিনেমায় যৌনতার কতরকম যে মাত্রা! নায়িকার বৃষ্টি ভেজা শাড়ির আঁচল ছুঁয়ে, ফুলের আড়ালে গোপন হওয়া নায়ক-নায়িকার চুম্বনের দৃশ্য হয়ে এখন তা যাত্রা করেছে নায়ি‌কার বিকিনি-সৌন্দর্য্যের দিকে। এই যৌনতারই আর এক মাত্রা রেপ সিন। এক নিরপরাধ মেয়ের ভাগ্যবিপর্যয়ের ঘটনা হিন্দি ‌ফিল্ম নির্মাতাদের উদ্ভট পরিকল্পনায় এক উপভোগ্যতার মাত্রায় পৌঁছে যায়। সেই পরিকল্পনাতেও অযুক্তি আর কুযুক্তির ফাঁক যে থাকে না তা নয়। কীরকম? দেখে নেওয়া যাক—

১. সিনেমার ভিলেনরা মদ না খেয়ে রেপ করতে পারে না। অথচ ডাক্তারি মত হল, মদ খেলে মানুষের স্নায়ু শিথি‌ল হয়। ফলে যৌন চাহিদাও হ্রাস পায়।

২. রেপড হওয়ার সময়ে মেয়েরা বেছে বেছে এমন ব্লাউজ পরে আসে যা একটু টানাটানিতেই ছিঁড়ে যায়।

৩. ভিলেনরা মেয়েদের আঁচল ধরে টানতে শুরু করলেই মেয়েরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গোল হয়ে ঘুরতে শুরু করে, যাতে পাকে পাকে সহজেই খুলে আসে শাড়ি।

৪. রেপড হওয়ার সময়ে মেয়েদের চেনা ডায়লগ ‘নেহি নেহি’, আর ‘মুঝে ভগওয়ান কে লিয়ে ছোড় দো’। পরিচি‌ত কারোর নাম ধরে ডাকবার কথা তাদের মনেও আসে না। ‘ভগবানের জন্য’ ছেড়ে দিলে ভগবানই বা মেয়েটিকে নিয়ে কী করবেন তা ভগবানই জানেন।

৫. ধর্ষণ যে মাত্রারই হোক না কেন তার অনিবার্য পরিণতি মেয়েটির গর্ভবতী হয়ে পড়া।

৬. ধর্ষক আর কিছু করুক না করুক রেপ করার সময়ে একটা রাক্ষুসে ‘হা হা’ হাসি হাসবেই।

৭. রেপ সিন-এর চেনা পরিপ্রেক্ষিত বৃষ্টি। বৃষ্টির সময়ে অনিবার্যভাবেই নায়িকার কাছে ছাতা থাকবে না। আর বৃষ্টিতে চুপচুপে ভিজে যাওয়ার পর, কেন কে জানে, পোড়ো বাড়ি বা ঝোপের আড়ালে তক্ষুণি তাঁদের পোশাক বদলানোর প্রয়োজন হয়ে পড়বেই। সম্ভাব্য রেপিস্টরা সে সময়ে নির্ঘাৎ ওত পেতে রয়েছে কাছেই। আর এই সুযোগেই…