আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজদিখানে বাহার আলিফ (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রকে নির্মমভাবে ্একাধিক ছুড়িকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদী গ্রামের সৌদি প্রবাসী বাদল শেখের ছেলে ও শেখ মীয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। হত্যাকারী মূল আসামী একই গ্রামের মো. রাজন বেপারীর ছেলে হৃদয় বেপারীকে (১৮) গতকাল শনিবার সকালে ঢাকার মুরাদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হত্যায় ব্যবহৃত সুইজ গিয়ার ছোড়াটি ও আলিফের স্যামসুং গ্যালাক্সি মোবাইল ফোনটিও ঢাকার মুরাদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকাবাসী গতকাল দুপুরে সিরাজদিখান বাজার থানার গেটে হাত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পুলিশ এসে আস্বস্ত করলে তারা চলে যান। গতকাল ময়না তদন্তের পর বিকাল ৪ টায় আলিফের লাশ পাথরঘাটা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সিরাজদিখান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। বাড়িতে শত শত এলাকাবাসী লাশটি এক নজর দেখার জন্য ভীর করেছে। স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলিফ শুক্রবার জুমার নামাজের আগে বাড়িতেই ছিল। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে বিকেল ৩ টায় বাড়ির দক্ষিণের ইছামতি নদীর খালের পাড়ে তার লাশ দেখা যায়। কচুরি পানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় এলাকাবাসী লাশটির পা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ও রাতে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছিল।

নিহত স্কুল ছাত্রের চাচা জহিরুল ইসলাম জানান আমাদের পরিবারের কারো সাথে কোন পূর্ব শত্রæতা নোই। আলিফের হাতে একটি দামি মোবাইল ফোন ছিল সেটি নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। মোবাইলের জন্য হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে।

সিরাজদিখান থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হানিফ সরকার জানান, মূল আসামী হৃদয়কে আটক করা হয়েছে ঢাকা থেকে এবং রক্তাত্ত ছোড়া ও মৃতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্দি দিয়েছে। মামলা প্রকৃয়াধীণ। রবিবার তাবে আদালতে পাঠানো হবে। #