শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সুন্দর ভাষা ব্যবহারে সমস্যা কোথায় ?

ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছে এমন জাতি হিসাবে বিশ্ব দরবারে আমাদের নাম সমুজ্জল! বাঙ্গালী জাতি হিসাবে আমরা গরবিত বটে। ভাষার জন্যে যারা প্রাণ দিয়ছিলেন তাদের আত্মার শান্তি নিশ্চয়ই সেদিন আরো বড় আকার ধারন করেছিলো যেদিন বিশ্ব দরবারে “একুশে ফেব্রুয়ারী” আন্তরজাতিক মাত্রিভাষা দিবসে সাদরে গ্রীহিত হয়েছে। আজ বিশ্ব ব্যাপী দিনটি কেবল বাঙ্গালী জাতির নয় সারা বিশ্বের। এ আমাদের গউরব। আমাদের অরজন। এই অরজন ধরে রাখতেই সরকার সরব স্তরে বাংলা ভাষা চালুর নিরদেশ দিয়েছেন (যদিও সেটা সব ক্ষেত্রে চালু সম্ভব হয় নি আজো)। না হোক, তবু তো একটা চেষ্টা করা হয়েছে – সেটাই সান্তনা !!!

বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমরা বাংলা ভাষার এক প্রকার বিক্রিত ব্যবহার দেখেছি আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম চলচিত্রে, টেলিভিশন নাটকে। সেখানেও সরকার একবার বাধ সেধেছিলো। দেশের সরবোচ্চ আদালত নিরদেশ ও দিয়েছিলো, বাংলা ভাষার বিক্রিতি বন্দ করার জন্য। আমরা মানি নি। বরং আমাদের বিজ্ঞাপন গুলিতে “বাংলা-ইংলিশ সহ নানা ভাষার মিশ্রণ আরো বহুগূণ বৃদ্ধি পেয়েছে ।

এরপর ঝট পট করে চালু হয়ে গিয়েছে কিছু বেসরকারী ব্যন্ডএর ছড়াছড়ি ! ভালো । এই সব মাধ্যম যত বাড়বে মানুষ নানাভাবে বিনোদনের মাধ্যম খুজে পাবে । কিন্তু একি? বিনোদনের নামে এই সব ব্যান্ড যেভাবে তাদের অনুষ্টান উপস্থাপনা করে তা কি বাংলা নাকি ভিন্ন কোন ভাষা? আমি বহুবার তাদের অনুষ্টান শোনার ও বোঝার চেষ্টা করেছি । কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি । এটা আমারই ব্যরথতা ধরে নিলাম ।

বাংলা ভাষার সাথে ইংরাজী শব্দ মিলিয়ে – মিশিয়ে যেভাবে বেসরকারী টেলিভিশনে যেহারে নানা সাজ সজ্জা ও বিনোদন মূলক অনুষ্টান উপস্থাপিত হয় তা খুব মন দিয়ে না দেখলে বা না শুনলে বোঝা মুশকিল যে আমরা আসলে কোন দেশে আছি? সেটাও আজকাল গা সয়ে গিয়েছে বলতে গেলে।সহনশীল জাত বলে কথা ! বীর এর জাতি আজ শুধুই ছাড় দিতে শিখেছে। সহ্য করতে শিখেছে । ঘরে – বাইরে, অফিসে–আদালতে, রাস্তায়–হাটে-মাঠ্রে–ঘাটে আজকাল ছাড় না দিলে নিজের অস্তিত্ত বিলীন হয়ে যেতে পারে যে কোন মূহুরতে! তাই বেচে থাকার জন্য ছাড় না হয় দিলাম । জীবন যে পরম মূল্যবান সম্পদ!!

কিন্তু শেষ অব্দি সাহিত্য? সেখানেও ছাড় দিতে হবে????

একুশের বই মেলা হলো বাঙ্গালীর প্রাণ । যেখানে অসংখ্য বই প্রতি বছর বের হয়। আমরা দলে দলে ছুটি পছন্দের বই কিনতে। মেলাকে সম্রিদ্ধ করতে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে। আমরা সকলেই মুখিয়ে থাকি এই মাসটির জন্য । এই মেলার জন্যে । এখানেই দেখা হয় নানা জনের সাথে। শিল্প সাহিত্য, ব্যক্তি, বিষয় ভিত্তিক আলোচনা হয়। সব কিছুই খুবই আকরষনীয় আমাদের কাছে । আমাদের মত নিম্ন বিত্ত বা মধ্যবিত্তের জন্যে বই কেনা – বই পড়া সে এক অদ্ভুত আনন্দের বিষয়। কাঙ্ক্ষিত বই কেনা ও পড়া সে যে এক বিশাল বিজয় !

সারা বছর কষ্ট করে যেই সব কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, লেখক, ছড়াকার, গল্পকার, প্রবন্ধকার বা রাজনীতিবিদেরা লেখা লেখি করেন তাদের কষ্ট কে সম্মান জানাতেই ছুটে যাই বইমেলার প্রথম দিন থেকেই । নিদেন পক্ষে তাদের বই কিনে এবং পড়ে নিজেকে সম্রিদ্ধ করি ও তাদের কে সামান্যতম হলেও মূল্যায়ন করি ।

কিন্তু দিনে দিনে কেবল হতাশ হচ্ছি কেন? এই সব কি বই কিনছি? কার বই পড়ছি ? সাহিত্য এর শালীনতা বরজিত তরল ভাষা, ইতিহাস – রাজনইতিক বই তে এত সব ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি আর অরথহীন কবিতা আসলে আমাদের কি বিনোদন দিতে পারে ? বইমেলায় অসংখ্য বই আর নিত্য নূতন লেখকের আগমন কে আমি ইতিবাচক ভাবেই গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আবেগের বশবরতী হয়ে একের পর এক তালিকা করে করে বই কিনে এনে যখন পড়তে শুরু করি তখন অনেক বই এর ক্ষেত্রেই হতাশ হই! এই সব কোন ভাষা? কোনটা দূরবোধ্য, কোনটা অরথহীন, কোনটা অবধ্য। কোনটার বা কোন সারবস্তু নাই । সেটাও নিজের অক্ষমতা মেনে নিয়ে পড়ি । জ্ঞ্যানী ব্যক্তিদের কাছে মানে জেনে নিয়ে পড়ার চেষ্টা করি । সে না হয় একটা পরযায় গেলো কিন্তু কিছু কিছু বই ইতিহাস এর বদলে ভূল তথ্য দিয়ে আর রগরগে বর্ণনা দিয়ে আসলে দেশ ও জাতিকে কি শিক্ষা দিচ্ছে ? এই সব দুই চার টি বই এর ভাষা এতটাই নিম্ন মানের বা কিছু বই এর ভাষা এতটাই অশালীন যা একাকীও পাঠ করা যায় না! কেন ? বিপরীত কাউকে ছোট করার জন্যে নিজেকে এতোটাই নীচে নামতে হবে কেন ? বা বই টি বিক্রীর জন্যে ভাষা টা এত নোংড়া হবার কী দরকার ?

কি অদ্ভুত ব্যাপার! আমরা কেউ কি একটুও সুস্থ্য চিন্তা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারি না? সব কিছুতেই কি “গরম মশালা “ দিতেই হবে ? আর সেটা দিলেই সুপাঠ্য হবে? আপনারা যারা লেখার ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছেন তাদের কি আত্ম পরিচয় এভাবে বিসরজন দেয়া উচিত? নিজের ও কালি – কলমের তো একটা সম্মান আছে ! আপনারা যদি এই সব ভালগার বই একুশের বই মেলায় বিক্রী করেন তাহলে আমাদের মত অভাগারা কষ্ট করে বই মেলায় যাবো কেন?

আমরা কি একটিবার ভাবতে পারি না আমাদের ভাষা, আমাদের ঐতিহ্য কে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা যায়? অথবা আমরা বিক্রিত বাংলা বা অশালীন বাংলা পরিহার করে সুবাক্য গঠন করতে সত্যি অক্ষম ???

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?