সেনাদের অতৃপ্ত আত্মা আজও এখানে ঘোরাফেরা করে!
অনেকের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর ইহলোক ত্যাগ করলে মানুষের আর কোনও অস্তিত্ব থাকে না৷ আবার অনেকের ধারণা শরীর শেষ হয়ে গেলেও আত্মার অস্তিত্ব থেকে যায়৷ আর সেই বিশ্বাস আরও প্রকট হয় দিল্লির লোথিয়ান কবরস্থানে এলে৷ দিল্লির কাশ্মীরি গেট থেকে মিনিট পাঁচেকের দূরত্বে অবস্থিত লোথিয়ান কবরস্থানে রাতে তো দূর, দিনেও কেউ যেতে সাহস করেন না৷
এই কবরস্থানকে ঘিরে রয়েছে ভয়ঙ্কর কিছু কাহিনী৷ যা শুনলে গা শিউরে উঠবে৷ উনিশ শতকের গোড়ার দিক থেকে এই কবরস্থানটি ব্রিটিশরাই ব্যবহার করতেন৷ যে ব্রিটিশ ব্যক্তি কবরস্থানটি তৈরি করেছিলেন, তার নামেই এই স্থানের নামকরণ করা হয়েছিল৷ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে বহু ব্রিটিশ সেনা প্রাণ হারিয়েছিল৷ তাদের এই লোথিয়ার কবরস্থানেই কবর দেওয়া হয়েছিল৷
অনেকেই বলেন, সেই সেনাদের অতৃপ্ত আত্মা আজও এখানে ঘোরাফেরা করে৷ অনেকে আবার একটি শিশুকে রাতে এই স্থানে ঘুরতে দেখেছেন৷ কবরস্থানে কেউ গেলে ওই শিশু নাকি তার কাছে তার হারিয়ে যাওয়া বাবা-মায়ের খোঁজ চায়৷ আতঙ্কে ভরা এই কবরস্থানের মাটির নিচে চাপা রয়েছে আরও একটা ভয়ঙ্কর ইতিহাস৷
শোনা যায়, ব্রিটিশদের আগে কবরস্থানটি মুসলমানরা ব্যবহার করতেন৷ ব্রিটিশরা ভারতে পা রাখার পর এই জায়গা তাদের বেশ মনে ধরে৷ ইংরেজরা ঠিক করে এখানেই নিজেদের প্রিয়জনের কবর দেওয়া হবে৷ তাই পুরনো সমস্ত কবর খুঁড়ে সাফ করা হয়৷ জায়গাটি হয়ে ওঠে আরও রহস্যময়৷ তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত কাহিনীটি হল এই যে ব্রিটিশ ব্যক্তি নিকোলাস প্রেমে পড়েছিল এক বিবাহিত ভারতীয় নারীর৷ ভালবাসায় ব্যর্থ প্রেমিক এই কবরস্থানেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছিল৷ এখনও রাতে নিকোলাসকে তার কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়৷
এরপরও কি সাহস করে যাবেন লোথিয়ান কবরস্থানে? ভেবে দেখুন৷ – সংবাদ প্রতিদিন
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন