সৌম্য এতো সুযোগ পেলে নাসির কেনো নয়
ক্রিকেটে সব সময়ই যে ভালো যাবে এমন নয়। ফর্মহীনতায় ভোগাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিশ্বনন্দিত সকল তারকা-মহাতারকাদের ক্যারিয়ারে চোখ বুলালেও এমন পরিসংখ্যান কথা বলবে। নাসির হোসেনও কোনো ভিনগ্রহের খেলোয়াড় নয় যে, প্রতি ম্যাচে শতক আর অর্ধশতক হাঁকাতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে তাঁকে কতটা সুযোগ দেয়া হয়েছে? মাঝে মধ্যে ১৫ সদস্যের দলে নাসিরের নামটা দেখা গেলেও মাঠ পর্যন্ত আসতে পারেননি তিনি। তবে কেনো বারবার উপেক্ষিত হচ্ছেন নাসির। জানতে চায় টাইগারভক্তরা।
একদিনের ক্রিকেটে ৫৮ ম্যাচ থেকে ১২৬২ রান করেছেন নাসির। যেখানে তাঁর গড় ৩২ এর উপরে। রয়েছে ১টি শতক আর ৬টি অর্ধশতকের ইনিংস। কেবল ব্যাটিংয়েই নয়, বল হাতেও অনেকখানি সফল নাসির। ৫৮ ম্যাচ খেলে ঝুলিতে পুরেছেন ২১টি উইকেট। যেখানে তাঁর বোলিং ইকোনমিক রেট ৪.৬১।
সর্বশেষ পারফরম্যান্স ভালো না। এমনটি বলারও খুব একটা সুযোগ নেই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১০টি ইনিংসে ১৯৫ রানের পাশাপাশি শিকার করেছেন ৪টি উইকেট। আর ফিল্ডিংয়ে দেখিয়েছেন দারুণসব কারিশমা। তালুবন্দি করেছেন ৮টি ক্যাচও। ঢাকার হয়ে সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে নাসিরের নাম। এমন ঝকঝকে পারফরম্যান্সের পরও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি নাসিরের। নাসিরের দোষটা কোথায়?
অথচ রান খরার মধ্যে থেকেও একাদশে ডাক পান সৌম্য সরকার। আমার সৌম্য কিংবা নাসিরের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিরোধ নেই। কোনো দন্দ্বও না। সাদা চোখে বিচার করলে আমার মনে হয় সৌম্যকে অনেক বেশি সুযোগ দেয়া হয়েছে। যার ছিটেফোঁটাও পায়নি নাসির। কী কারণে সৌম্যকে এতটা সুযোগ দেয়া হচ্ছে, আমার জানা নেই। তবে নাসিরের কথা বাদই দিলাম। যেখানে আমাদের আরও অনেক পারফর্মার দলের বাইরে পড়ে আছেন, সেখানে কেনো সৌম্যকে এত বেশি সুযোগ দেয়া হচ্ছে এটা কিছুতেই বুঝতে পারছি না।
সৌম্যর সর্বশেষ পরিসংখ্যানও যে খুব একটা ভালো তা কিন্তু নয়। বিপিএল সিজন ফোরে ১২ ম্যাচ খেলে ১২ গড়ে করেছেন ১৩৫ রান। এমন নাজুক পারফরম্যান্সের পরও নিউজিল্যান্ড সিরিজের মূল একাদশে সৌম্যকে দেখে ক্রিকেটবোদ্ধাদের দীর্ঘ:শ্বাস বাড়াটা স্বাভাবিকই। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে করেছেন ৮ বলে ১ রান। তার উপর কী একটা বাজে শর্ট খেলে আউট হয়েছেন তিনি। থাক, সেই ব্যাখ্যাটা না-ই দিলাম।
আপনি যদি নাসিরকে দলে রাখেন তবে একজন ব্যাটসম্যান, পার্টটাইম বোলারের পাশাপাশি পাচ্ছেন দারুণ একজন ফিল্ডারকেও। মূল কথা সৌম্যকে নিয়ে নয়, নাসিরকে দলে সুযোগ দেয়া নিয়ে। কথার পিঠে কথা আসে। আমার মনে হচ্ছে সৌম্যকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি সেই সুযোগের কতটা যুতসই ব্যবহার করেছেন এটা ভাববার সময় এসেছে। সৌম্যর এমন পারফরম্যান্স নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এতো ভালো জায়গায় ব্যাটিং করেও রানে ফিরতে পারেননি তিনি। তবে কি সত্যিই সৌম্য অনেক সৌভাগ্যবান। না হয় দিনের পর দিন বাজে খেলেও দলে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। অন্য কোনো ক্রিকেটারকে এতটা সুযোগ দেয়া হয়নি। আশা করছি, নির্বাচকরা সৌম্যকে নিয়ে ভাবার পাশাপাশি নাসিরের বিষয়টিও আমলে নেবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন