স্বামীকে শিক্ষা দিতে শিশুকে নির্যাতন
সাবেক স্বামীর ওপর প্রতিশোধ নিতে নিজের দুই বছর বয়সী সন্তানকে বেধড়ক মারধর করেছেন এক অল্প বয়সী রাশিয়ান মা। স্বামীকে কেন তাদের ছেড়ে গেল? এই কারণেই স্বামীকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য ছোট্ট শিশুকে মারধরের এই দৃশ্য ভিডিও করেন মা। স্বামী সম্প্রতি তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে তালাকের আবেদন করেছেন।
দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ ভিডিও ফুটেজটি ভাইরাল আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুটির নাম সাশা। শিশুটিকে তার মা মারার সময় সে ভয়ে দুই হাত দিয়ে মুখ লুকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে মায়ের মন একটুও নরম হচ্ছে না। উপুর্যপুরি শিশুটিকে থাপ্পড় দিয়ে চলছেনই মা। শিশুটির অজ্ঞাত এক আত্মীয় দাবি করেছেন, তার কাছে ওই ভিডিও টেপটি রয়েছে। যেখানে মা টাটিয়ানা তার শিশু পুত্রকে তাদের নিজদের ঘরেই মারধর করছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর রাস্তভ অন ডনে। বর্তমানে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, টাটিয়ানার স্বামী তাদেরকে ছেড়ে যাবার পর থেকে সে ‘হিংস্র’ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে টাটিয়ানা যখন শুনেছে তার স্বামী তালাকের জন্য আবেদন করেছে। তারপর টাটিয়ানা তার সাবেক স্বামীকে শিক্ষা দেয়ার জন্যই ছোট্ট সন্তানকে মারধর করে ভিডিও করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় জানান, টাটিয়ানা তার স্বামীকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্যই এই ভিডিও করেছে। ভিডিওটি তার এক বোনের কাছেও পাঠিয়েছে।
শিশুটিকে মারার সময় টাটিয়ানা চিৎকার করে বলছিল, তোমার বাবার সব খারাপ কাজের প্রতিশোধ তোমার ওপর দিয়ে নিব। এই দৃশ্য যখন তোমার বাবা দেখবে তখন সে বুঝতে পারবে। আমার কথা তুমি বুঝতে পেরেছ?
ছোট্ট সাশা তখন তার মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া চেষ্টা করছিল। ঘটনার পর শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালশিটে দাগ পড়েছে। তবে তার স্থায়ী কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। পুলিশ এবং প্রসিকিউটর অফিস এই ঘটনার তদন্ত করছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন