হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পৃথিবীতে শুভাগমন
পাঁচশত সত্তর অথবা পাঁচশত একাত্তর ইসায়ী সনের বারই রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার সুবেহ ছাদেকের সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাতৃগর্ভ হইতে এই ধরনীবক্ষে শুভাগমণ করিলেন। হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর সেই জন্মনিশিতে যে সকল অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত সংগঠিত হইয়াছিল, বিশ্ব-মাননীয়া তাহার জননী বিবি আমেনা নিজ মুখে তাহা বর্ননা করিয়াছেন এই প্রকার।
হুযুরে পাক ভুমিষ্ঠ হইবার পূর্ব মুহূর্তে বিবি আমেনা গৃহমধ্যে সম্পূর্ণ একাকিনী ছিলেন। হঠাৎ তিনি আকাশের দিক হইতে একটা প্রচন্ড আওয়াজ শুনিতে পাইয়া অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হইয়া পরিলেন। পরক্ষণেই অবিকল মোরগাকৃতি একটি পাখী উরিয়া আসিয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল ও তাহার পালক দুইটি বিবি আমেনার মস্তক স্পর্শ করাইল। তাহাতে তাহার অন্তর হইতে সকল প্রকারের ভয়-ভীতি দূর হইল এবং তিনি বেশ আনন্দ ও আরাম বোধ করিতে লাগিলেন। তখন মোরগটি কিছু মিষ্টিদ্রব্য বিবি আমেনার মুখে ঢুকাইয়া দিল।
বর্ণনান্তরে দেখা যায়, মোরগটি চলিয়া যাইবার পর জনৈক সুন্দর যুবাপুরুষ আসিয়া বিবি আমেনাকে একগ্লাস মিষ্টি শরবত পান করাইল। উহা দেখিতে ছিল দুধের মত সাদা, কিন্তু খাইতে ছিল মধুর মত মিষ্টি। বিবি আমেনা বলেন, অতঃপর আমার হইতে যেন একটা অপরূপ জ্যোতি বাহির হইয়া উর্ধাকাশের দিকে উঠিয়া গেল। পরক্ষনেই আমার নিকট কয়েক জন সুন্দরী স্ত্রীলোক আশিয়া উপস্থিত হইলেন। আমি তাহাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, তাহারা হইলেনঃ হযরত হাজেরা, হযরত মরিয়ম এবং হযরত আছিয়া। তাহারা আমাকে বিশেষভাবে আশ্বস্ত করিলেন, আপনার কোন দুশ্চিন্তা বা ভয়ের কারণ নাই। আল্লাহর নির্দেশে আমরা আপনার পরিচর্যার জন্য আগমন করিয়াছি। এই সময় আমি একটি অদৃশ্য আওয়াজ শুনিতে পাইলামঃ শিশুটিকে মানুষের দৃষ্টির অন্তরালে রাখ।
আমি তারপর আবার দেখিলাম, কতকগুলি সুন্দিরী মহিলা রূপার তস্তরীতে করিয়া মেশক, আম্বর ও অন্যান্য সুগন্ধি দ্রব্য লইয়া আসিয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল। আমি আরও দেখিতে পাইলাম যে, কতকগুলি অপূর্ব পাখী আমার গৃহের উপর উড়িয়া বেড়াইতে লাগিল। ঐ ধরনের সুন্দর বর্ন এবং আকৃতির পাখি ইতোপূর্বে আমি আর কোনদিন দেখি নাই। উহা দেখিয়া আমার চক্ষু জুড়াইয়া গেল। এমনি অবস্থার মধ্যে আমার পুএ মুহাম্মদ (সাঃ) ভুমিষ্ঠ হইল। আমি কোন কিছু উপলদ্ধি করিতে পারিলাম না। সে ভুমিষ্ঠ হইয়া সিজদায় পতিত হইয়া বলিল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার রাত্রে ঘটনাক্রমে আমার গৃহে কোন প্রদীপ ছিল না কিন্তু আমার পূত্রের দেহের আলোকে আমার গৃহাভ্যন্তর এই রূপ আলোকিত হইল যে, ঘরের মেঝেয় পতিত সূঁচও সে আলোতে তুলিয়া লওয়া যাইত। সেই আলোর ছটা এমনই উজ্জ্বল ছিল যে, উহার ঝলকে সুদুরবর্তী সিরিয়া দেশটি পর্যন্ত আমার চোখের সামনে ভাসিয়া উঠিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন