মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

৪৭তম মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন ৭৭ বছরের বৃদ্ধ

সপ্তম শ্রেণি পাস করতে আদু ভাইয়ের চেষ্টার কথা সর্বজনবিদিত। গল্পের আদু ভাই বারবার চেষ্টা করেও অষ্টম শ্রেণিতে প্রবেশাধিকার পাচ্ছিলেন না। শেষে পাস করতে না পারলে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুমকি দেন আদুর বউ। সেই হুমকির পর প্রাণপণ চেষ্টা করে প্রমোশন পেয়েছিলেন ছেলের সঙ্গে। স্বীকৃতিও মিলেছিল। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে মারা যান। ফলে অষ্টম শ্রেণিতে আর পড়া হয়নি তাঁর।

বাস্তবের আদু ভাই শিবচরণ যাদব। বয়স ৭৭। বাসস্থান ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আলওয়াই জেলার কোহারি গ্রামে। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পরীক্ষা দিয়েছেন ৪৬ বার। তবে গল্পের আদু ভাইয়ের মতো পাস জোটেনি তাঁর ভাগ্যে। এরপরও তিনি নাছোড়বান্দা। এবার ৪৭তম বারের মতো পরীক্ষায় বসছেন তিনি। আগামী ১০ মার্চ সে পরীক্ষা হতে চলেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদক কথা বলেন শিবচরণের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমবার পরীক্ষা দিই ১৯৬৮ সালে। ওই বছর ফেল করি। প্রতিবারই কিছু বিষয়ে পাস করি, আবার অন্যগুলোতে ফেল করি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমি যদি গণিত ও বিজ্ঞানে পর্যাপ্ত নম্বর পাই, তবে হিন্দি ও ইংরেজিতে ফেল। এ বছর আমি সবগুলোতে পাস করার আশা করছি।’

শিবচরণ বলেন, ২১ বছর আগে ১৯৯৫ সালে তিনি প্রায় পাস করেই ফেলেছিলেন। সে বছর শুধু গণিতে ফেল করেন তিনি।

‘৩০ বছর ধরে আমি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া বাড়িতে আছি। সরকারের দেওয়া বয়স্ক-ভাতা এবং নিকটবর্তী মন্দিরের প্রাসাদ (খাবার) খেয়ে একরকম আছি’, বলেন শিবচরণ।

দ্য মেইল অনলাইনের খবরে বলা হয়, রাজস্থান মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত বছর ৪৬ বারের মতো দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেন শিবচরণ। ওই যাত্রায়ও কৃতকার্য হতে পারেননি তিনি। তবে গত বছর একটি বিষয়ে পাস করতে পেরেছেন। সামাজিক বিজ্ঞান পরীক্ষায় তিনি ৩৪ নম্বর পেয়েছেন। এর আগের বছর ২০১৪ সালে একই পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি শূন্য পেয়েছিলেন। গত বছর অন্যান্য বিষয়ে তাঁর নম্বর উল্লেখ করার মতো নয়। তিনি হিন্দিতে পেয়েছেন ৩, ইংরেজিতে শূন্য, গণিতে ৯ ও সংস্কৃতে ৭। ২০১৪ সালে হিন্দিতে ২৭, ইংরেজিতে ৪, সামাজিক বিজ্ঞানে শূন্য, গণিতে ৮ ও সংস্কৃতে ৭ পেয়েছিলেন।

বারবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও পরীক্ষা দেন কেন—জানতে চাইলে শিবচরণ গত বছর ডেইলি মেইলকে বলেছিলেন, যৌবনে করা শপথ রক্ষা করতেই তিনি এ কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কী এমন ছিল তাঁর শপথে? উত্তরে শিবচরণ বলেন, দশম শ্রেণি পাস না করলে তিনি বিয়ে করবেন না। কিন্তু দশম শ্রেণি পাস হয়নি; বিয়েও হয়নি। তাই এই বৃথা চেষ্টা করে লাভ কী?

সাবলীল ভাষায় শিবচরণ ওরফে শিওরাম বলেন, ‘আব সাদি কা চান্স তো হ্যায় নেহি, ইসলিয়ে আব বিশওয়া রেকর্ড ম্যায় আপনা নাম দারজ কারণেকে লিয়ে পারিকষা দে রাহা হু (এখন বিয়ের সুযোগ নেই, তাই আমি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার চেষ্টা করছি)।’

শিবচরণের পরিবারের কেউই বেঁচে নেই। এ অবস্থার মধ্যেও একাদশ শ্রেণিতে ওঠার অদম্য সাধনা করে যাচ্ছেন তিনি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ