৪ মাস আগে ঝিনাইদহের মেসে ওঠে নিব্রাস!
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তরাঁয় হামলাকারী নিব্রাস ইসলাম পরিচয় গোপন করে সাঈদ নাম নিয়ে ঝিনাইদহের একটি মেসে থাকতেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ঝিনাইদহ সদরের সোনালীপাড়ার ওই মেসে নিবরাসকে দেখার কথা স্থানীয়রা একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, গুলশানে হামলাকারীদের ছবি গণমাধ্যমে আসার পর তারা একজনকে নিব্রাস বলে চিনতে পারেন, তবে তারা জানতেন তার নাম সাঈদ।
ঝিনাইদহ শহরের যে বাড়ির মেসে নিব্রাস থাকতেন সে বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য কওছর আলী। চার মাস আগে নিব্রাস ইসলাম মেসের পাশের মসজিদের ইমামের মাধ্যমে মেসে ওঠে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ওই ৮ জন ছাত্র চলে যায়। তারপর থেকে আর ফেরেনি তারা।
ঈদের ছয় দিন আগে গুলশানে হামলা হয়। নিব্রাসের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে এই তরুণ গত ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, তারা প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রাবাসের পাশের একটি ফুটবল মাঠে খেলতো। নিব্রাস নিজেকে সাইদ পরিচয় দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মেসে থাকতো বলে সবাইকে বলতো। সে ভাল ইংরেজি বলতে পারতো। গুলশান ঘটনার পর ছবি দেখে জানতে পারে এ সাঈদই নিব্রাস।
ওই মেস ভাড়া দেওয়া বাড়ির মালিক কওছর আলীর স্ত্রী বিলকিস নাহার বলেন, ‘চার মাস আগে সাঈদসহ (নিব্রাস) দুজনকে পাশের মসজিদের ইমাম মো. রোকনুজ্জামান মেসে তুলেছিলেন। ইমাম রোকনুজ্জামান দুজনকে মেসে তুলেছিলেন। তারা কী করত, কোথা থেকে এসেছিল, আমরা কিছু জানতাম না।’
বাড়ির মালিক কওছর আলী ও ইমাম রোকনুজ্জামানের খোঁজ চাইলে বিলকিস বলেন, ঈদের আগের রাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে বাড়ি ও মেস তল্লাশি করে। তারা যাওয়ার সময় কওছার ও তার দুই ছেলে বেনসার আলী ও বেনজির আলী, ইমাম রোকনুজ্জামান এবং সাব্বির নামে স্থানীয় এক হাফেজকে ধরে নিয়ে গেছে।
এদিকে, ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন বলেন, তারা এদের কাউকে আটকের বিষয়ে কিছু জানেন না।
গত ১ জুলাই আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা সন্ত্রাসী হামলায় চালায়। এরপর ওই রেস্তোরাঁয় থাকা ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন লোকজনকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। পরে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এই ধরনের অতর্কিত হামলা চালিয়ে মানুষজনকে জিম্মি করার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম।
পরের দিন ভোরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। চালিয়ে জিম্মি হওয়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে এবং ২০ জন বিদেশি নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাংলাদশে দুই দিনের শোক পালন করে বাংলাদেশ।
গুলশানের জঙ্গি হামলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করে বাংলাদেশে আরও হামলার হুমকি দেওয়া হয় আইএসের নাম করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন
তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন
মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন