৭ হাজার টাকায় বিক্রি হল একটি ইলিশ!
আর একদিন পরে বাংলার নতুন বছর শুরু হবে। ভোজনবিলাসী বাঙালির কাছে ঐদিন বেশি কদর পাবে ইলিশ। তাছাড়া আবহমানকাল থেকে বাংলার মানুষের ইলিশের প্রতি একটু বেশিই দুর্বলতা। পহেলা বৈশাখ আসলে ধুম পড়ে পান্তা ইলিশ খাওয়ার। এ সময় ইলিশের দাম হোক হাজার টাকা, তাতে কী আসে যায় ?
আজকের দিন পার হলেই কাল নতুন বছর শুরু হবে বাংলার। ভোজনবিলাসী বাঙালির কাছে ঐদিন বেশি কদর পাবে ইলিশ। এদিকে ইলিশ প্রজননে সুবিধার জন্য গত ১ মার্চ থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এটা বলবৎ থাকবে। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল উদযাপন হবে বাংলা নববর্ষ। আর এই সময় ইলিশের একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে।
৯০ দশক থেকেই নববর্ষে পান্তার সঙ্গে ইলিশের প্রচলন শুরু হয়। বছর বছর এই আয়োজন বাড়তে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি আবার এর বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারও চালাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার নববর্ষের আপ্যায়নে ইলিশ না রাখার ঘোষণা দিয়েছেন গত বছর থেকে।
যখন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বিক্রি সবই যখন নিষিদ্ধ তখন বাংলা বর্ষবরণের প্রভাব পড়েছে মাওয়ার মৎস্য পাইকারী আড়তে। ২ কেজি ১০০গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার টাকায়।
আজ বৃহস্পপতিবার ভোরে ওই ইলিশটি সুরেশ্বর নামক এলাকার পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়ে। এ মাছটি তার কাছ থেকে মৎস্য আড়তে মাওয়া এলাকার পাইকারী বিক্রেতা মো. রাজিব নামের এক ব্যবসায়ী সাড়ে ৬ হাজার টাকায় কিনে নেন।
পরে রাজিব নামের ওই ব্যবসায়ী ২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ৫শ টাকা লাভে ৭ হাজার টাকা দামে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
নতুন বছরকে বরণ করতে মেতে উঠেছেন বিভিন্ন এলাকার সব স্তরের মানুষ। এদিন উপলক্ষে পান্তা ইলিশের আয়োজনকে কেন্দ্র করেই ইলিশ কেনার আশায় দূর-দুরান্ত থেকে অনেকেই ছুটছেন বহু আলোচিত পদ্মাসেতু এলাকার মাওয়ার পদ্মাপাড়ে।
এসব কিছুকে কেন্দ্র করেই পদ্মার রূপালী ইলিশের বাজারে এখন আগুনের উত্তাপ। সোনার দামে ইলিশ। যাও পাওয়া যাচ্ছে তাও দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশচুম্বী। বড় সাইজের একটি পদ্মার ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকায়ও।
রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারী, স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের পাশাপাশি বিত্তবান অনেক ক্রেতা খুব ভোরে মাওয়ায় এসে এসব ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বেশী দাম দিয়ে। তবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এহারে দাম বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
অন্যদিকে ১লা বৈশাখের চাহিদা মেটাতে বহু সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারাও হন্যে হয়ে পাড়ি দিচ্ছেন মাওয়ার এই মৎস্য আড়তে।
নাদিম মৎস্য আড়তের পরিচালক মো. জালাল মৃধা জানান, গতকাল বুধবার সকালে চাঁদপুর সংলগ্ন নদীর পদ্মার নামা থেকে দেড় কেজির সমান বা বেশি ওজনের একটি ইলিশ তাদের আড়তে আসে। পরে মাছটি সাড়ে ৫ হাজার টাকায় রাজধানীর এক পাইকারী বিক্রেতা কিনে নিয়ে যান। এছাড়া গতকাল সোয়া কেজি ওজনের দুটি মাছ ১০ হাজার টাকায় করে বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়াও ১ কেজির কম পরিমাপের বিভিন্ন সাইজের এক হালি ইলিশ প্রকারভেদে ৭ হাজার থেকে ৯হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এক কেজির বেশী পরিমাপের বড় সাইজের ইলিশ এখন পাওয়াই যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
হাজী রহমান মাদবর মৎস্য আড়তের মালিক মো. চান মিয়া মাদবর জানায়, গত কয়েকদিন থেকে এখানে পদ্মার বড় ইলিশের খুবই সঙ্কট রয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে না। মাত্র দু’দিন আগেও ইলিশের পাইকাররা ১কেজির সামান্য কম ওজনের ৪টি ইলিশ ৭ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করা হলেও গত সোমবার থেকে এসব ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫/১৬হাজার টাকায়। এক কেজির বেশি হঠাৎ যাও পাওয়া যাচ্ছে তা বিক্রি হচ্ছে ২০/২২হাজার টাকায়।
তিনি আরো জানান, গত সোমবার ভোরে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর এলাকার নামার পদ্মা থেকে জেলেরা বড় ভিন্ন ভিন্ন সাইজের কয়েকটি ইলিশ মাছ তার আড়তে আনে। এ সময় মাছ গুলো তিনি ডাকে বিক্রি করেন ১৫/১৬হাজার টাকায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সবুজ ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্তই জরুরি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামবিস্তারিত পড়ুন
মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত ভুল: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশবিস্তারিত পড়ুন
ম্যাসেজ টু কমিশনার (M2C) : রাস্তার অবৈধ দোকান সরানো হলো
মহানগরীর যে কোন নাগরিক পুলিশি সেবা সংক্রান্ত যে কোন তথ্য,বিস্তারিত পড়ুন