শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

খাসকামরায় একান্তে ঐশীর ১৫ মিনিটের বক্তব্য শুনলেন হাইকোর্ট

রাজধানীর মগবাজারে বাবা-মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে ঐশী রহমানের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে তার বক্তব্য শুনলেন হাইকোর্ট। এরপর তাকে আবারও কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে এগারটা পর্যন্ত খাসকামরায় ১৫ মিনিট একান্তে ঐশীর কথা শোনা হয়। সেখানে কেবল আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের একজন করে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সোমবার সকাল পৌনে দশটার দিকে হাইকোর্টের নির্দেশে ঐশীকে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এজলাসে বসে তাকে নিয়ে খাসকামরায় যান। সেখানে দশটা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা এগারটা পর্যন্ত তার বক্তব্য শোনা হয়।

আইনজীবীরা এজলাসকক্ষে ফিরে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আদালত এজলাসে উঠে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন বলে জানান তারা।

ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্সের শুনানি চলাকালে গত ৩ এপ্রিল মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিল তাকে হাজির করতে আইজিকে (প্রিজন) আদেশ দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই আদেশ অনুযায়ী এদিন ঐশীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

গত ১২ মার্চ থেকে ডেথ রেফারেন্সের এ শুনানি চলছে। আদালতে ঐশীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।

এর আগে ঐশীর আইনজীবীরা আদালতে বলেন, একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে ও মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঐশী বংশগতভাবে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। গত ৩ এপ্রিল এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিকালে আদালত মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ঐশী রহমানকে ১০ এপ্রিল হাজিরের কথা বলেন।

ওই দিন আদালত রায়ে বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঐশী রহমান হত্যার সময় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন এবং বংশগতভাবে তারা মানসিক রোগী। তার দাদি, চাচারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। সেই মেডিকেল রিপোর্টের সত্যতা যাচাই ও পর্যবেক্ষণ করতে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হলো।

তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জহির আদালতের ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ঐশীকে হাজির করা ঠিক হবে না। মামলার এ পর্যায়ে তাকে হাজির করা হলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হবে। কেননা মামলার সাক্ষ্য, তদন্ত সবকিছু শেষে বিচারিক আদালত রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্টে ঐশীকে হাজির করা হলে আদালতের মায়া জন্মাতে পারে বা ঐশীর পক্ষে যেতে পারে। তাই তাঁকে হাজির করা ঠিক হবে না।

ওই দিন ঐশীর পক্ষে আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী শুনানি করেন। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে ঐশী রহমান হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে মেয়ে ঐশী রহমানকে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর দুবার মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অন্যটি সরাসরি বাতিল হয়ে যাবে।

একই সঙ্গে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

ওই দিন বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ ঐশীর প্রকৃত বয়স প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আর সে যে সাবালিকা, এটাও প্রমাণিত হয়েছে।’ আসামিপক্ষ ঐশীর বয়সের পক্ষে যা যুক্তি দিয়েছে, তা যথাযথ নয় বলে মন্তব্য করেন আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘ঘটনার দিন ঐশী নেশাগ্রস্ত ছিল। তার ক্রিমিনাল ইনটেন্ট (অপরাধ সংঘটনের ইচ্ছা) ছিল। হঠাৎ করেই কোনো উত্তেজনা ছিল না, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সে তার বাবা-মাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে। সে সুকৌশলে কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে।’

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার দিন বিকেলে পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের একটি বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। এছাড়া খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেওয়ায় ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দু’বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মূল্য ৭ কোটি: পঞ্চগড়ে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকাল পৌনে ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জবিস্তারিত পড়ুন

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট নিয়ে আদেশ

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার প্রকাশিত গেজেট বিষয়েবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা

জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট। এ দিবস উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে কঠোরবিস্তারিত পড়ুন

  • মানবতাবিরোধী অপরাধ: আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর
  • নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা: হাইকোর্টের রায় ২২ আগস্ট
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রাজাকার হাফিজ গ্রেপ্তার
  • সেলিম ওসমান অসুস্থ, চার্জ শুনানি হল না
  • স্ত্রী-শাশুড়িসহ তুফান ফের রিমান্ডে
  • এই রায়ে আমি ব্যথিত: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • রিমান্ডে ধর্ষণের কথা ‘স্বীকার’ করলেন তুফান সরকার
  • আইনমন্ত্রীর খসড়া গ্রহণ করেনি আপিল বিভাগ
  • হলি আর্টিজানে হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ রাশেদ গ্রেপ্তার
  • হবিগঞ্জে চার শিশু হত্যা : তিনজনের ফাঁসির রায়
  • খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন
  • বিচার বিভাগকে কোনঠাসা করে দেশের মঙ্গল হয় না: প্রধান বিচারপতি