সংগঠনে ‘কাউয়া’ (কাক) ঢুকছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরো বলেন, ‘প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশিজীবী দরকার নেই। ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না। ’ আজ বুধবার সিলেটে বিভাগীয় তৃণমূল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকি আছে। নেতা-কর্মীদের কথা কম বলে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে আরও সুশৃঙ্খল, আরও আধুনিক হতে হবে। শেখ হাসিনাকে জয় উপহার দিতে হবে। ’

বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‌‘বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হবেন না। বিএনপির আমি নাম দিয়েছি বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বি-তে বাংলাদেশ, এন-এতে নালিশ, পি-তে পার্টি। আন্দোলন করবে তারা রোজা ঈদের পরে। এরপর কোরবানি ঈদের পরে। পরে পরীক্ষার পর। এরপর বছর যায়, আন্দোলন হয় না। মরা গাঙে আর ঢেউ আসবে না। মাস যায়, বছর যায়, বিএনপির আন্দোলন আর কোন বছর হবে? এই বছর না সেই বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর। ’

এ সময় সিলেটসহ সারা দেশে প্রতিটি স্থানেই প্রকাশ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে যেসব পদে জমিদারের মতো দখল হয়ে আছে, সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। এটা নিয়ে টালবাহানা চলবে না। ’

সিলেট বিভাগের চার জেলার ১০ হাজার তৃণমূল প্রতিনিধিকে নিয়ে আজ বুধবার সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট-১ আসনের সাংসদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনসহ চার জেলার তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।