শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

রম্য

ভাড়া ১০০ টাকা, ভ্যাট-ট্যাক্স মিলে ২৪০!

গোপাল ভাঁড় এখন আর অর্থমন্ত্রী নন। রাজনীতি থেকে অবসরের পর তিনি এখন পুরোদস্তুর রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী। তাঁর বেশভূষায়ও পরিবর্তন এসেছে। সরকারকে নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দেন।

এবার আসি মূল গল্পে। ব্যক্তিগত গাড়ি মেরামত করতে গ্যারেজে পাঠিয়েছেন গোপাল ভাঁড়। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছেন রিকশার জন্য। কিছুক্ষণ পর একটি রিকশা আসতেই গন্তব্যের কথা বলে উঠে পড়লেন। জানতেও চাইলেন না, ভাড়া কত।

কিছুক্ষণ পর তরুণ রিকশাচালক গল্পজুড়ে দিলেন। স্যার, আপনার হোটেলের খাওন তো খুব ভালো। গোপাল ভাঁড় মুচকি হাসলেন। কিন্তু স্যার, ৪০০ টাকার খাবার খাইতে গিয়া আরো ১০০ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স, সার্ভিস চার্জ দিতে হইছে।

গোপালের জবাব, এসির মধ্যে আরাম করে খাবা, সরকারকে ট্যাক্স দিবা না?

গল্প করতে করতে গন্তব্য চলে এলো। গোপাল ভাঁড় নেমেই জানতে চাইলেন ভাড়া কত?

ভাড়া ১০০ টাকা স্যার, এই বলে রিকশায় থাকা পজ মেশিন থেকে একটি ছোট প্রিন্ট আউট বের করে বিল ধরিয়ে দিলেন চালক।

বিল দেখে গোপাল ভাঁড়ের চক্ষু চড়কগাছ। বয়স হয়ে গেছে বলে ভুল দেখছেন না তো! বিলে লেখা- রিকশা ভাড়া ১০০ টাকা, ভ্যাট ১৫ শতাংশ ১৫ টাকা, রিকশা কর ১০ শতাংশ ১০ টাকা, সিটি করপোরেশনের কর ১০ শতাংশ ১০ টাকা, সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ ১০ টাকা, আবগারি শুল্ক ১০ শতাংশ ১০ টাকা, মেগাপ্রকল্পের কর ১০ শতাংশ ১০ টাকা, মালিকের জমা ১০ শতাংশ ১০ টাকা, পুলিশের হাতখরচ ১০ শতাংশ ১০ টাকা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হাতখরচ ১০ শতাংশ ১০ টাকা, ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীদের হাতখরচ ১০ শতাংশ ১০ টাকা, বউয়ের হাতখরচ ৫ শতাংশ ৫ টাকা, সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ৫ শতাংশ ৫ টাকা, মোবাইল-ইন্টারনেট খরচ ১০ শতাংশ ১০ টাকা, সার্ভিজ চার্জ ৫ শতাংশ ৫ টাকা। অর্থাৎ রিকশা ভাড়া ১০০ টাকা; ভ্যাট, ট্যাক্সসহ অন্যান্য ১৩০ টাকা। মোট ২৩০ টাকা।

গোপাল ভাঁড় এবার মুখ খুললেন। দেখো, আমি সাবেক অর্থমন্ত্রী। আমার কাছ থেকে কিছু কম নাও। কিছু ভ্যাট-ট্যাক্স রেয়াত দাও।

কন কী স্যার? আপনি সাবেক অর্থমন্ত্রী! তাহলে তো আরো ১০ শতাংশ ট্যাক্স বাড়ব। সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপি, নেতাকর্মী, সরকারি কর্মচারীদের ওপর নতুন ট্যাক্স বসাইছে বর্তমান সরকার। এই বলে রিকশাচালক আগের বিল বাতিল করে নতুন করে প্রিন্ট আউট বের করে বিল ধরিয়ে দিলেন। এবার বিল এলো মোট ২৪০ টাকা।

গোপাল ভাঁড় আবার গাই-গুই শুরু করলেন। চালকের সাফ জবাব। না স্যার, কোনো কম হইব না। আপনি যেভাবে ভ্যাট-ট্যাক্সের নতুন নতুন পথ দেখাইছেন, এটা তারই রেজাল্ট।

দেখ, তোমার বিল দিতে হবে না। ওইটা তুমি ক্যানসেল কর। তুমি তোমার ভাড়া ১০০ টাকা রাখ। সেই সঙ্গে তোমারে চা-নাস্তা খাবার জন্য ২০ টাকা টিপস দিলাম।

কন কী স্যার! চালক রিকশার ওপরে একটি সিসি ক্যামেরা দেখিয়ে বললেন, এই দ্যাহেন ক্যামেরা। আপনেরে যতগুলো খাতে ভ্যাট-ট্যাক্সের কথা কইলাম, সব অফিসে এই ক্যামেরা দিয়া মনিটর করতাছে। দুই নম্বরি করার কোনো সুযোগ নাই স্যার!

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আহা চিকুনগুনিয়া !

ঈদের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে পা দিয়ে আমিবিস্তারিত পড়ুন

‘দৃষ্টিশক্তি থাকা, কিন্তু জীবনে লক্ষ্য না থাকা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ’

চক্ষু, কর্ন, জিহবা, নাসিকা, ত্বক – মানুষের এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়েরবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষিতা মেয়েটির গল্প

পারিনি সেদিন নিজেকে শোষকদের হাত থেকে রক্ষা করতে, পারিনি সেদিনবিস্তারিত পড়ুন

  • যা হবে কবিতা লিখে…!
  • কাটাপ্পা বাহুবলির পর এইবার হিরো আলম ড্রেস?
  • দর্শক যেভাবে বুঝলেন যে মাশরাফির স্ত্রী ক্রিকেট খেলেন না!
  • ‘‘আজকাল আইসিসির সহযোগিতা ছাড়া মাশরাফি-তামিমদের বিপক্ষে জেতা যায় নাকি’’
  • গরু খোঁজা (একটি গল্প)
  • যেসব খাতে ভ্যাট বসানো অতি জরুরি
  • দুদকের হয়ে কেস লড়তে চান কেডি পাঠক
  • শততম টেস্টে আম্পায়ার কেন ওই রকম করলেন?
  • রিক্সা চালাই বিয়ে করেছিলাম, আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম —
  • নারীর দাস জীবন এবং একজন সাদিয়া নাসরিন
  • আজকের এ দিনে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো ঢাকার রাজপথ