ভ্যাটে পড়ে থাকা রোগীকে বাঁচালেন তরুণী, মর্যাদা দিল না হাসপাতাল
একদিকে মানবিক কর্তব্য আর অন্যদিকে সযত্নে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার ছবি। শুক্রবার ভরদুপুরে এমন দৃশ্য দেখা গেল শহরের রাস্তায়। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন পথচারীরা। শেষপর্যন্ত পুলিশকর্মীদের সাহায্যে ভ্যাটে পড়ে থাকা এক প্রবীণাকে তুলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক তরুণী। নানা টালবাহানার শেষে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। কিন্তু তারপর মেডিসিন ওয়ার্ডে এক জুনিয়র চিকিত্সকের কাছে তাঁকে অপমানিত হতে হয় বলে গার্গীর অভিযোগ। তরুণীর কথায়, ‘‘আমাকে ওই ডাক্তার বলতে থাকেন, কেন রাস্তা থেকে রোগী তুলে এনেছেন? এর দায় কে নেবে? আপনি রোগীর কাছে থাকবেন ২৪ ঘণ্টা? নাম কিনতে চান?’’
এ প্রসঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন বলেন, ‘‘যাঁরা রোগীকে এনে ভর্তি করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। বিভাগীয় প্রধান, অধ্যক্ষ এবং সুপারের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন চিকিত্সক এই ব্যবহার করতে পারেন না।’’
এদিন দুপুর ২টো নাগাদ ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ দিয়ে যাচ্ছিলেন গার্গী। হুগলির গুড়াপের বাসিন্দা তিনি। ২০১৫ সালে স্নাতক হওয়ার পর এখন চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিন তাঁর নজরে পড়ে, রাস্তার ধারে নর্দমা আর আবর্জনার মাঝামাঝি জায়গায় কিছু একটা নড়ছে। কাছে গিয়ে দেখেন, এক প্রবীণা পড়ে রয়েছেন।
গার্গী জানান, ওই প্রবীণাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পথচলতিদের সাহায্য চাইলেও প্রায় সকলেই মুখ ঘুরিয়ে এড়িয়ে যান। ব্যতিক্রম শ্যামপুকুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাটি জেনে উদ্যোগী হন তিনি। থানা থেকে তিন পুলিশ কর্মীকে গার্গীর সঙ্গে পাঠান। যায় অ্যাম্বুল্যান্স।
আবর্জনার মধ্যে থেকে ওই মহিলাকে তুলে পরিষ্কার করে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি করে। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে শুরু হয় ভর্তির সমস্যা। গার্গী এবং পুলিশ কর্মীরা বিষয়টি এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নজরে আনলে তিনি ফোন করে উপযুক্ত চিকিত্সা এবং বেডে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। সাত তলায় রোগীকে মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে ফ্লোর নম্বর-৫’এ ভর্তি করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। গার্গীর অভিযোগ, ‘‘এক নার্স দিদির সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন ওই ডাক্তার আমাকে বলেন, কেন এভাবে রাস্তা থেকে রোগীকে তুলে এনে বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছি। তবে সারাদিন পুলিশ আমাকে খুব সাহায্য করেছে।’’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রীদের মধ্যে হিনা খানের সাজপোশাক নিয়ে চর্চা লেগেইবিস্তারিত পড়ুন
কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
আমার বাবা ভিক্ষা করতো, মা রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। সংসারে খুববিস্তারিত পড়ুন
অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম ফুলানিরসিট। সেবিস্তারিত পড়ুন