‘দেশে গান গাওয়ার পরিবেশ নেই’ বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন। এই কণ্ঠশিল্পী জানিয়েছেন, তিনি দেশে গান গাইতে পারেন না, গান গাওয়ার পরিবেশ নেই। এমনকি এই পরিস্থিতি অবসানের জন্যও আশা প্রকাশ করেছেন।

বেবী নাজনীন এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন বিদেশি দুজন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে বেশকিছু প্রভাবশালী দেশ।

প্রশ্ন উঠেছে বেবী নাজনীন কি সেই আগুনে ঘি ঢাললেন? নিউইয়র্কের জ্যাকশন হাইটসের জুইশ সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বেবী নাজনীন যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে কি সে রকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে একজন সাধারণ মানুষও বলে উঠবেন- না, বাংলাদেশে এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে শিল্পীরা গান গাইতে পারছেন না।

যদি তাই হতো তাহলে ১৬ অক্টোবর কিংবদন্তী ব্যান্ড তারকা জেমস জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট মাতিয়ে আসতে পারতেন না। যদি সেরকম পরিস্থিতিই থাকতো তাহলে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শি’র কনসার্ট নিয়ে কেন এত ব্যস্ততা। জলের গানও কি ঠিকমতো কনসার্ট শেষ করে বাড়ি ফিরতে পারতো? না। তাহলে বিদেশের মাটিতে গিয়ে বেবী নাজনীনের কেন এই বিভ্রান্তি ছড়ানো?

এ প্রসঙ্গে কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বার বলেন, ‘দেশে এমন পরিস্থিতি মোটেও বিরাজ করছে না। আর উনি কেন এমন কথা বলেছেন সেটা নিয়ে এই মুহূর্তে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’ প্রায় একই কথা বললেন আরেক কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবীও।

তিনি বলেন, ‘ঐ রকম পরিস্থিতি নেই এটা ঠিক। আর উনি কেন এমন কথা বললেন সেটা আমি জানি না। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেও চাচ্ছি না।’ এ দুজন গুণী কণ্ঠশিল্পীর বক্তব্যে এটা প্রমাণিত যে, বেবী নাজনীনের অভিযোগ সত্য নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রবাসে সরকারবিরোধী জনমত গড়ে তুলতে এবং চার ভাগে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতেই জ্যাকসন হাইটসে ঐ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে সম্মেলনটি হলেও যার মূল আয়োজক ছিলেন বেবী নাজনীন নিজেই। প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থে এমন বিভ্রান্তি ছড়ানো একজন জনপ্রিয় শিল্পীর পক্ষে কতটা যৌক্তিক?