রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আতঙ্কের আরেক নাম মোংলা-খুলনা মহাসড়ক

মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারা দেশের সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র উপায় মোংলা-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক। এই সড়কের প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তা ভেঙে ও খানাখন্দ হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারের অভাবে এ পথে যাত্রীসাধারণসহ বন্দরের পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি চরমে উঠছে। প্রায়শ ঘটছে নানা রকম দুর্ঘটনা।

গত ৪ অক্টোবর মোংলা বন্দরের দিগরাজ এলাকায় সড়কের ভাঙা অংশে তিনটি পণ্যবোঝাই ট্রাক উল্টে ১২ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ দীর্ঘ সময়ে ব্যস্ততম মোংলা-খুলনা মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আটকে পড়ে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক, টেইলর লরি, বাসসহ অন্যান্য যানবাহন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মোংলা থেকে খুলনা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটার সড়কের সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এই রাস্তার সংস্কারকাজ করা হয়। গত তিন বছরে আর কোনো সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার অবস্থা বেহাল।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দিগরাজ বাজার থেকে শুরু করে বেলাই ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় গর্ত। কোথাও কোথাও বিটুমিন উঠে মাটির রাস্তার মতো হয়ে গেছে। দিগরাজ বাজারের সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এ পথ অতিক্রম করতে সব ধরনের যানবাহনকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। যানবাহনগুলো চলাচলের সময় সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ওপর পড়ে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খাচ্ছে।

বাগেরহাট মাইক্রোবাস-পিকআপ চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ অপিরুদ্দিন জানান, প্রতিদিন সড়কের কোথাও না কোথাও নতুন নতুন গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও লম্বালম্বি ধসে নিচু হয়ে গেছে। অনেক সময় বাস-ট্রাক দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের ওপর দিয়ে চলাচল না করে সড়কের পাশ দিয়ে চলাচল করায় কোনো কোনো স্থান ধসে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে। আর পানি জমে যাওয়ায় দ্রুত বিটুমিন ও পাথরের খোয়া উঠে নতুন নতুন গর্তে পরিণত হচ্ছে। সড়ক বিভাগ এসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে কোনো রকমে ইট-বালু ফেলে মেরামত করায় তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না।

খুলনার ট্রাক চালক আবদুল মজিদ জানান, ব্যাপক খানাখন্দের কারণে সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় দেখা যায় কোনো কোনো স্থানে গাড়ি চলাচলের জন্য একটি মাত্র লেন তৈরি হয়েছে। সেখানে লাইন দিয়ে একদিকের গাড়ি অতিক্রম না করার পর অন্য দিকের গাড়ি পার হতে পারে না। আবার দেখা যায়, ঝাঁকুনি খেতে খেতে সড়কের মধ্যে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকতে হয়। আর গাড়ি উল্টে যাওয়া, গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়া তো নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা।

মোংলার মৎস্য ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাছ প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিগুলো খুলনায় অবস্থিত। মাছ ভর্তি পিক-আপ নিয়ে আমরা খুবই বিপদে পড়ি। মোংলা থেকে খুলনায় যেতে ৪০ মিনিট লাগলেও এখন লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এই সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। মোংলা বন্দরকে সচল রাখতে সড়কটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। সড়কটি চালু রাখতে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মাঝে মধ্যে ইট বালু দিয়ে সংস্কার করি। স্থায়ীভাবে এই কাজটি সওজের করার কথা। আমরা আশা করব, যত দ্রুত সম্ভব গুরুত্ব বিবেচনা করে এই সড়কটি সড়ক ও জনপথ সঠিকভাবে সংস্কার করবে।’

মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) মহাব্যবস্থাপক মাহামুদ হাসান বলেন, ‘চলাচল অনুপযোগী মোংলা-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। ঢাকা থেকে এখানে আসার আর কোনো সহজ পথ না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখানে আসতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। রাস্তার করুণ দশার কারণে বিদ্যমান কারখানাগুলো বেনাপোল স্থলবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে কাঁচামাল ও রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়ায় ঝামেলা পোহাচ্ছেন। তারা প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন। আমরা রাস্তার সমস্যাটি খুব দ্রুত লিখিতভাবে বেপজা ও বাগেরহাট সড়ক বিভাগকে জানাব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাগেরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ এ মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ রাস্তাসহ বাগেরহাটের কাটাখালী থেকে নওয়াপাড়া অংশে ১৫ কোটি টাকা প্রাক্কলন ধরে আমরা দরপত্র আহ্বান করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা সংস্কারের কার্যাদেশ দিতে পারব।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ জাতীয় মহাসড়ক ঢাকার সঙ্গে খুলনা ও বরিশালের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। মোংলা সমুদ্রবন্দর, মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, মোংলা শিল্প এলাকা, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের ঘাঁটিসহ বিভিন্ন কারণে এই সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিদিন খুলনা থেকে এই পথে মোংলায় এসে অফিস করেন। তা ছাড়া প্রতিদিন দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বসহ অসংখ্য পর্যটক এই সড়কপথে মোংলা হয়ে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ভ্রমণে যান। তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সড়কটির সংস্কার করা প্রয়োজন। ntv news

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন

৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 

ট্রেন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুনবিস্তারিত পড়ুন

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শোকজ শুরু করেছে বিএনপি

চলমান উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেবিস্তারিত পড়ুন

  • ময়মনসিংহের এমপি শান্ত দলীয় বিরোধে পদত্যাগের ঘোষণা 
  • লক্ষ্মীপুর জেলায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু
  • কাউন্সিলর ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ 
  • মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ
  • কামরাঙ্গীরচরে বিষপান করে পগৃহবধূর আত্মহত্যা
  • বানিয়াচং উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে, ৩ জনে মৃত্যু
  • সাতক্ষীরা জেলায় আম সংগ্রহ উদ্বোধন
  • ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু
  • ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে : ওবায়দুল কাদের
  • পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
  • মোহাম্মদপুরে ৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার
  • বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ